মাকে খাবার না দেয়ার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশীর উপর হামলা চালিয়েছে ছেলে। এ ঘটনায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে মৃত গৌরাঙ্গ মন্ডল। তিনি ১৫ বছর পূর্বে মারা গেছে। তার স্ত্রী মালতি মন্ডল (৬০) ছেলে শ্যামল মন্ডল ও ছেলের বউ অনিতা অধিকারী। শ্যামল মন্ডল তার মা মালতি মন্ডলকে বিভিন্ন অজুহাতে খাবার না দিয়ে গালি-গালাজসহ মারধর করে আসছিল। মালতি মন্ডল বিষয়টি শনিবার এলাকাবাসীকে জানালে একই গ্রামের কার্তিক রায়ের চায়ের দোকানের সমূখে গৌরাঙ্গ লাল বৈদ্য, শিক্ষিকা শোভা মন্ডলসহ কয়েকজন মিলে মাকে খাবার না দেয়ার বিষয়টি ছেলে শ্যামল মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করে। এতে শ্যামল ক্ষিপ্ত হয়ে সবাইকে গালি-গালাজ করা সহ গৌরাঙ্গ লাল বৈদ্যকে মারধর করে। এঘটনা জানতে পেরে গৌরাঙ্গ লাল বৈদ্যর ছেলে সমীর বৈদ্য, সজল বৈদ্য, সুভাষ বৈদ্যমিলে পাল্টা হামলা চালায় শ্যামল ও তার স্ত্রী অনিতার উপর। এতে শ্যামল ও অনিতার আহত হয়। উভয় পক্ষের আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্যামল, অনিতা এবং গৌরাঙ্গ লাল বৈদ্য চিকিৎসাধিন রয়েছে।
মালতি মন্ডল (৬০) জানায়, আমাকে আমার ছেলে শ্যামল মন্ডল খাবার না দিয়ে মারধরকরে এই কথা আমি এলাকার গৌরাঙ্গ লাল বৈদ্য সহ অনেকের কাছে বলেছি। গৗরাঙ্গ লাল বৈদ্য এই কথা আমার ছেলকে জিজ্ঞাস করলে সে গৌরাঙ্গ লাল বৈদ্য উপরে হামলা চালায়।
এব্যাপারে প্রতিবেশী আহত গৌরাঙ্গ লাল বৈদ্য জানায়, শ্যামল মন্ডলের মা মালতি মন্ডল একাধিকবার আমার বাড়ি গিয়ে ছেলে ও ছেলের বৌ খাবার না দিয়ে তাকে মারধর করার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি কার্তিক রায়ের চায়ের দোকানে বসে শ্যামলকে জিজ্ঞাসা করি। সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা চালিয়ে আহত করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শ্যামল মন্ডল জানায়, আমার মা বাড়িতে কোন কাজ না করে মানুষের বাড়ি-বাড়ি ঘুরে তাদের কাছে আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বদনাম করে। তাই মাঝে মধ্যে সংসারে ঝগড়াঝাঁটি হয়।
এঘটনায় বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপুল দাস সাংবাদিকদের জানান, শ্যামল মন্ডল মাকে খাবার দেয়না বিষয়টি সত্য। দু’পক্ষই আমার কাছে এসেছিল। রোববার বিকেলে বিষয়টি শালিশে মিমাংশা করে দিবো।