তীব্র শীতে জবুথবু উত্তরাঞ্চলের ন্যায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর মানুষ। সম্প্রতি জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকার সব শ্রেণী পেশার মানুষ। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় সৃষ্ট প্রচন্ড শীতের তীব্রতায় দিন-মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশী নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য উদয় হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। ঠিক একদিন পরেই শীতের তীব্রতা আরো ভয়ংকর হওয়ার কথা জানিয়েছেন দেশের আবহাওয়া দপ্তর। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকে খড়কুটো জ¦ালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। জেঁকে বসা শীতের কারণে বেশী দুর্ভোগে পড়া শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সাধারণ মানুষের পাশাপশি গৃহস্থালি প্রাণীরাও নাকাল হয়ে পড়েছেন। শীত এবং কুয়াশার কারণে এ অঞ্চলের উঠতি ফসল মরিচ, আলু, টমেটো সহ বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলা কুষি অফিসার মোছাঃ নুরজাহান খাতুন জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে এবং দেড় শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা বোপন করেছে এ অঞ্চলের চাষীরা। আকস্মিক শীতে শ্রমজীবি মানুষের বেড়ে গেছে চরম দুর্দশা। শীত মোকাবেলায় আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুসফিকুল আলম হালিম বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় সরকারীভাবে প্রায় তিন হাজার কম্বল অত্র উপজেলায় বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে তা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমেধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা, হাসপাতালের রোগী ও মুক্তিযোদ্ধা সহ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে দেড় শতাধিক কম্বল সহ চাল, ডাল ও তেলের সমন্বয়ে বেশ কিছু শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে বেসরকারী এবং ব্যক্তিগত উদ্দ্যেগে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলায় বসবাসরত শীতের তীব্রতায় নাকাল মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ইতোমধ্যে বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। ঠিক এ মুহুর্তে দেশের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার খেটে খাওয়া মানুষ।