বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে জনগণের জন্য ও দেশের উন্নয়নের জন্য। স্বাধীনতার পরে দক্ষিণ অঞ্চলে যা উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার আমলেই হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাস করে। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খুলনা (রূপসা) শ্রীফলতলা-তেরখাদা সড়ক (জেড ৭০৪১) ও শ্রীফলতলা-সেনের বাজার (জেড৭০৪২) সড়কের প্রশস্ত করণ কাজ ১.৮০ কিলোমিটার সড়কের মজবুতিকরণ কাজ ৬.৭০ কিলোমিটার সড়কের সার্ফেসিং কাজ ২২.৯০ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ৩৮.৬১ কোটি টাকা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে।
সড়ক দুটি বিভাগীয় শহর খুলনার সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। অত্র অঞ্চলের অর্থ ও সামাজিক উন্নয়নে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সড়কটি গুরুত্ব অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুলনা (রূপসা) শ্রীফলতলা-তেরখাদা সড়ক (জেড ৭০৪১) যথাযথ মান ও প্রশস্ত করার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু শ্রীফলতলা সেনের বাজার চেইনেজে প্রশস্ততা এখনও ৩.৭০ মিটার রয়েছে। যার কারণে যান বহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। একারণে ওই শ্রীফলতলা সেনের বাজার (জেড৭০৪২) সড়কটি প্রশস্ত করার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন এমপি সালাম মূর্শেদী।
এই সড়কটি জেলা শহরের সাথে রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলাসহ গোপালগঞ্জ জেলা এবং বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলা সংযুক্ত করেছে। এই সড়কটি দিয়ে মোল্লারহাট উপজেলা হয়ে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের উপর দিয়ে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস হাইওয়ে হয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে মিলিত হয়েছে। তাই সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি তেরখাদা উপজেলা শেখ আবু নাসের অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ হলে এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এবং কৃষিভিত্তিক পণ্য পরিবহন সহজ হবে। একারণে সকল বিষয়ে গুরুত্ব উপলব্ধি করে সড়ক দু’টি পিরিয়ডিক মেইনটেনেন্স প্রোগ্রামে (মেজর-সড়ক) অন্তর্ভুক্তি করেছেন।