দেশের সর্ব দক্ষিণের জনপদ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রার দক্ষিণ বেদকাশির পাতাখালি গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী করেছেন এলাকার জনসাধারণ। ঐ গ্রামে ৫ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি কোন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় কোমলমতি শিশুরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কিবরিয়া আলম জানিয়েছেন, বিগত ১৯৯৬ সালে স্থানীয় ইয়াকুব মল্লিক ও হায়দার মল্লিক নামের দু’ব্যক্তি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ১ বিঘা জমি দান করেন। সে সময়ে ঐ জায়গার ওপর পাতাখালি কমিউনিটি বিদ্যালয় নামে সরকারি অর্থায়নে একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কিছুদিন পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। গত ২০ বছর যাবত পাতাখালি গ্রামে কোন স্কুল না থাকায় কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাতাখালী গ্রামের অমেদ আলী বলেন, গ্রামের কোমল মতি শিশুরা দুরের বিদ্যালয় গিয়ে লেখা পড়তে চায়না। তাই এই গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। দক্ষিন বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আছের আলী মোড়ল বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে স্থানীয় এমপি, সহ জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আবেদনের অনুলিপি প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ঐ মন্ত্রনালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জিএম কবি শামছুর রহমান বলেন, পাতাখালি গ্রামের শিশুদের লেখাপড়ার জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা অতীব জরুরী। সে জন্য এলাকাবাসী প্রধানন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।