বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের কেদারপুর সোনার বাংলা উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ে একাধিক পদে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি বরিশাল বিজ্ঞ বাবুগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূতেরদিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী এর পুত্র মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২১ মে তারিখে কেদারপুর সোনার বাংলা উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ে এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী(এমএলএসএস) পদে আবেদন করেন মামলার বাদী মোঃ দেলোয়ার হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য কেদারপুর সোনার বাংলা উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মঞ্জুর রহমান একটি প্রবেশ পত্র প্রদান করেন। একই সালের ৩০ অক্টোবর বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাদীসহ ৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ওই পরীক্ষায় বাদী মোঃ দেলোয়ার হোসেন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তির্ন হন। পরীক্ষায় উত্তির্ন হওয়ার পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন কে নিয়োগ প্রদানের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। সেই থেকে অদ্যাবধি ওই পদে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। পূনরায় ওই পদটিসহ একাধিক পদে জনবল নিয়োগের গত ২৭ জুলাই ২০২২ সাকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
দেলোয়ারের হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে বরিশাল বিজ্ঞ বাবুগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা অধিদপ্তরের উপণ্ড পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৩/২৩,, এ মামলায় আগামী ২৯ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাদী মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন পরবর্তী পরীক্ষায় উত্তির্ন হয়েছি। কিন্তু নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে স্বপদে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হই। এ কারণে আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ মঞ্জুর রহমান বলেন, তৎকালীন এলএমএসএস পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় তৎকালীন সভাপতি ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেন এবং ওই পরীক্ষায় উত্তির্ন হওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন। তাছাড়া ওই পরীক্ষায় উত্তির্ন হওয়ার ফলাফল কারো কাছে নেই।