বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন আবারো লোকালয়ে দুটি রয়েলে বেঙ্গল টাইগার সবার সামনেই পুকুরে নেমে মিষ্টি পানি পান করলো সুন্দরবনের দুটি বাঘ। পানি পান এবং বিশ্রাম শেষে শান্ত ভঙ্গিতে বনে প্রবেশ করলো আবার।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিস এলাকায় তিনটি বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। গেল ২৪ ঘন্টা ধরে বাঘ তিনটি অফিসের আাশপাশ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বনরক্ষীরা দুটি বাঘের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে। তবে বার বার ঘোরাঘুরি করায় আতঙ্ক বিরাজ করছে চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিসের ৫ বনরক্ষীর মাঝে।
চান্দেশ্বর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে তিনটি বাঘ আমাদের অফিস প্রাঙ্গনে ঢুকে পড়ে। পরে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বাঘ গুলো দেখা গেছে। আমরা কয়েক বার দেখেছি বাঘ গুলোকে।এখনও বাঘগুলো অফিসের দক্ষিণ পাশে নদী তীরে অবস্থান করছে। আমরাও সতর্ক অবস্থানে থেকে বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।
পূর্ব সুন্দরবনের সুপতি স্টেশনাধীন চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিস রান্না ঘরের পাশে। রাত থেকে অবধি তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। নিজ বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছেন বনরক্ষিরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুর থেকে পূর্ব সুন্দরবনের সুপতি ষ্টেশনাধীন চান্দেশ্বর ফরেষ্ট অফিস চত্বরে।তবে আজ দুপরের পরে তাদের দেখা যায়নি।
চান্দেশ্বর ক্যাম্পের বনরক্ষি তরুন মজুমদার জানান, বাঘ তাদের শুক্রবার দুপুর থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা দরজা খুলতেও ভয় পাঁচ্ছেন। রান্না ঘরে প্রবেশ করতে না পারায় সেই দুপুর থেকেই অভূক্ত রয়েছেন। সুন্দরবনে অনেক বছর চাকুরী করলেও তারা এমন পরিস্থিতির শিকার হননি কখনো। অফিস এলাকায় লোকজনের মধ্যে বাঘের এমন অবস্থান তাদের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো সামসুল আরেফীন জানান, এই সময়টা বাঘের প্রজননকাল। তাই সঙ্গীসহ বাঘগুলো নিজস্ব প্রকৃতিতে চলাচল করছে। তাদের কোনো ক্ষতি না করতে বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।