সরাইলে প্রবাসী আবদুল হামিদ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামি ইয়ামিন মিয়া (২৫) প্রকাশ মালিকে গ্রেপ্তার করেছেন ডিবি পুলিশ। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে কিলিং মিশনের হোতা মালিকে গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হামিদ হত্যার দায় স্বীকার করেছে মালি। মালি সরাইল সদর ইউনিয়নের বণিক পাড়ার বাসিন্দা।
ডিবি পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, হামিদের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ করে আসছিলেন স্বজনরা। আর ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য স্ট্রোক জনিত কারণে হামিদের মৃত্যু হয়েছে বলে একটি বলয় চাউর করার চেষ্টা করে আসছিলেন। লাশ উদ্ধারের পর ওই দিন রাতেই পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেন। থানায় মামলা দায়েরের মাত্র ৫ দিন পরই মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. রেজাউল ইসলাম। দায়িত্ব পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই আসামীর সন্ধানে মাঠে নেমে পড়েন রেজাউল। মোবাইল ট্র্যাকিং ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার গভীর রাতে জেলা শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন এস আই রেজাউল। অভিযানকালে হামিদ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত মালিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি'র জিজ্ঞাসাবাদে কিলিং মিশনে থাকা ও হামিদকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মালি। এ ছাড়া প্রবাসী হামিদকে হত্যার কারণ, কারা ও কিভাবে হত্যা করা হয়েছে? এসবের ব্যাখ্যা দিয়েছে মালি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরই নিজেকে রক্ষার জন্য প্রথমে কক্সবাজার ও পরে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল ঘটনার অন্যতম হোতা মালি। হত্যার দায় স্বীকার করেছে সে। সোমবার মালিকে সরাইলের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১লা ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ১১টায় ৪ সন্তানের জনক প্রবাসী আবদুল হামিদকে কে বা কাহারা মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতে আর বাড়ি ফিরেনি হামিদ। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে হামিদের বসতবাড়ির উত্তর পাশের খালি জায়গায় হামিদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে শিশুরা। হামিদ উচালিয়াপাড়া গ্রামের প্রয়াত আবদুল আলীমের ছেলে।