রাজশাহী পুঠিয়ায় শাহাবাজপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি অবৈধভাবে গঠন করে শিক্ষা বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানয়ী গন্যমান্য ব্যক্তিরা পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের এমপির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৪ জুলাই শাহাবাজপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসউদুল করিম নিয়মবর্হিভূত অমান্য করে নিজের আত্মীয়স্বজনদের ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির গঠন করেছে। সভাপতি করেছেন আপন শালা মুক্তাদিরু শাহ বুলেট। নির্বাচন না করে প্রধান শিক্ষকের আপন ভাগ্নে আবু সেলিম এবং আপন চাচাত ভাই বজলুর রহমানকে অভিভাবক প্রতিনিধির মনোনয়ন দিয়েছেন। অপরদিকে, সিদ্দিক মোল্লাকে অভিভাবক সদস্য করেছেন কিন্তু তার কোনো সন্তান বিদ্যালয়ে লিখিপড়া করেন না। প্রধান শিক্ষক নিজের স্বার্থরক্ষার্থে বিদ্যালয়ের তার মতের শিক্ষক হযরত আলী,ইসরাফিল মোল্লা এবং মহিলা শিক্ষিকা কারিমা খাতুনকে প্রতিনিধি মনোনয়ন দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা নিয়ম অমান্য করে ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠনের প্রতিবাদ জানালে,প্রধান শিক্ষক মাসউদুল করিম কোনো কর্ণপাত করছে না। বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা গত ৭ ফেরুয়ারি পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের এমপির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্যালয়ের অভিভাবক জানায়,পুঠিয়া-দুর্গাপুর এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নিদের্শে প্রধান শিক্ষক শাহাবাজপুর বিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। শুধুমাত্র নিয়োগ দেওয়ার জন্যই, প্রধান শিক্ষক যাকে কমিটিতে রাখলে নিয়োগ দিতে সুবিধা হবে তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছে। অভিভাবক মাহাবুল রহমান বলেন, শাহাবাজপুর এলাকায় বাদ দিয়ে অন্য এলাকার বিএনপির শিক্ষকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মোনায়াম হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং তিনজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন প্রার্থীর নিকট হতে ১৫ লাখ হতে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। শাহাবাজপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসউদুল করিম বলেন, এমপি সাহেব আমাকে ডিও লেটার দিয়েছে, আমি তাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠন করেছি। নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আমার কোনো হাত নেই। শাহাবাজপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুুক্তাদিরু শাহ বুলেট বলেন,নিয়মনুযায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারপর ,এমপির নিদের্শেক্রমে আ.লীগের লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আকতার জাহান বলেন, আমি রাজশাহী একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং রয়েছি। এখন কথা বলতে পাড়ব না।