বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় আবারও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) আওতাধীন ৪৩ সড়ক বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের কর্মীরা।
ওজোপাডিকোর বরিশালের পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম সোমবার সকালে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নগরীর ৪৩টি সড়কের বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখনো ১৫/১৬টি সড়কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, বকেয়া পরিশোধ করলে বাকি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবেনা। সিটি কর্পোরেশনের কাছে ৬০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তারা মৌখিকভাবে বিল পরিশোধের কথা বলেছিল কিন্তু অদ্যবর্ধি দেয়নি। তাই বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আমরা বাধ্য হয়েছি।
সূত্রমতে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নগরীর ১৫টি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিলো। ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সিটি কর্পোরেশন এবং ওজোপাডিকোর মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান। ওইসময় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এখন থেকে প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ ও বকেয়া যে বিল রয়েছে সেটি ধীরে ধীরে পরিশোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সোমবার সকালে এ বিষয়ে বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাওনা পরিশোধে দফায় দফায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, আমার আওতাধীন ১৬টি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিমাসের বিলও দেয়নি। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, বিদ্যুত সংযোগ কখন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি পরে জানানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।