পুঠিয়ায় রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়ায় এবং শিক্ষা বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধানদের দিয়ে প্রতিষ্ঠান চলানো অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল কলেজ মাদ্রাসার অভিভাবকদের অভিমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান না থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান দিন দিন নষ্টো দিকে যাচ্ছে। দেখা গেছে, উপজেলায় স্কুল ৪৪টি, কলেজ ১২টি, স্কুল এ- কলেজ ৩টি, মাদ্রাসা ১৩টি রয়েছে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠিনগুলো ভারপ্রাপ্ত প্রধানদের দিয়ে চলছে, তারা হলো লস্করপুর ডিগ্রী কলেজ, বেলপুকুর মহিলা কলেজ, ধোকড়াকুল ডিগ্রী কলেজ, পঙ্গুশিশু নিকেতন ডিগ্রী কলেজ, পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয় পুঠিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বিড়ালদহ ফাজিল মাদ্রাসা। রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়ায় এবং শিক্ষা বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে শাহবাজপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং স্থানয়ী গন্যমান্য ব্যক্তিরা ৭ ফের্রুয়ারি পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের এমপির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুঠিয়া সদরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করে আসছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলছে,ভারপ্রাপ্তা প্রধারা কোনো দিনই প্রতিষ্ঠানের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। কারণ, তাদের ভেতরে একটা পিছুটান থাকে। আর দায়সারা কাজ করার জন্য,প্রতিষ্ঠিানের শিক্ষার মান দিন দিন নষ্টের দিয়ে যাচ্ছে। শাহবাজপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অভিভাবক মাহাবুল রহমান বলেন,রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে চুক্তি করে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষক বসানো হয়েছে এই বিদ্যালয়টিতে। স্থানীয় নেতারা যাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠিানের শূন্য পদ এবং সৃষ্ট পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব তাকে রাজনীতিবিদরা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন। উদ্দেশ্যে একটাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতারা বলেন, বর্তমানে উপজেলায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়োগ নিতে মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে। আর প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ নিতে ৮ হতে ১০ লাখ টাকা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দিতে হচ্ছে। রাজনৈতিক সমঝোতা এবং অর্থনৈতিক সমঝোতা হলেই সেই ব্যক্তিগুলো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চুক্তি হওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রত্রিুয়া করার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আকতার জাহান বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ঝামেলা রয়েছে। পর্যায়ত্রুমে বাকি প্রধানদের নিয়োগ দেওয়া হবে।