ভোলার লালমোহনে উপজেলা যুবদলের সভাপতি গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ। পরে তাকে লালমোহনের একটি হত্যা মামলার অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালমা ৩নং ওয়ার্ডের (শেহের আলী বাড়ি) মোঃ শাহ জাহানের স্ত্রী রওশন আরা বেগম গত ২৩ ফ্রেব্রুয়ারী রাতে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারী নিখোঁজ রওশন আরা ছেলে মোঃ সিহাবউদ্দিন লালমোহন থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করেন যার নং ১২৩৪। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের বাসার পশ্চিম দিক থেকে পঁচা দূর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহাতিতভাবে রওশন আরা বেগমের ছেলে সিহাব উদ্দিন তাদের বাথরুমের কাছে গেলে আরো বেশি দুর্গন্ধ অনুভব করায় বাথরুমের ডাকনাটি খুলে দেখেন তার মায়ের লাশ বাথরুমের ট্যাংকির মধ্যে। পরে তিনি ডাকচিৎকার দিলে পাশ্ববর্তী লোকজন আসেন এবং থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জল লাশটি ভোলা মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সিহাব উদ্দিন (৩৮) বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করে লালমোহন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ১ লা মার্চ সকালে ঢাকা থেকে ললমোহনে আসলে লালমোহন উপজেলা যুবদলের সভাতি শাহিনুল কবির হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আজ (২ মার্চ) নিখোঁজ রওশন আরা বেগমের ছেলে দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
জানতে চাইলে ভোলা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম বলেন, আমরা শুনেছি লালমোহন উপজেলা যুবদলের সভাপতি কবির হাওলাদারকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করছে। পরে একটি হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামি করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এটি করে কখনো আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে।
লালমোহনের একটি দলীয় সুত্র জানায় কবির হাওলাদার দীর্ঘদিন ঢাকায় মিরপুরে তার বাসায় অবস্থান করছিলেন। ২৮ ফেব্রুয়ারী লঞ্চযোগে ঢাকা থেকে লালমোহনে আসলে তাকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে হত্যা মামলার আসামি করে জেল হজেতে প্রেরণ করেন। এটি কখনো গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে না। লালমোহন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তিদাবী করেন।