পুঠিয়ায় রাত হলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুকুর খননের হিড়িক পড়ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা বলছে, উপজেলা প্রশাসন এবং রাজনৈনিক নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে রাতে খনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, উপজেলার শিলমাড়িয়া, জিউপাড়া ও ভালুকগাছি ইউনিয়ন এলাকায় ৬টি স্থানে পুকুর খননের কাজ চলছে এবং ২০টি স্থানে নতুন করে পুকুর খননের প্রস্তুতি চলছে। যেখানে পুকুরগুলো খনন চলছে, সবকটিই তিন ফসলি জমিতে। গভীর রাত হলেই ভেকু দিয়ে দ্রুত গতিতে খননের কাজ করছে। আর একটি পুকুর খনন করতে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ সূত্রে জানা গিয়েছে। জিউপাড়ার মকছেদ আলি বলেন, গাইনপাড়ায় গ্রামে একই স্থানে ৬টি পুকুর খনন হচ্ছে। পুকুর খননকারীদে সঙ্গে দুই নেতার চুক্তি হয়ে। আর খননকৃত মাটি স্থানীয় ইটভাটা মালিকদের ট্র্যাক্টরগুলো বহণ করছে। মাত্রাতিরিক্ত মাটি বহণের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সড়ক নির্মাণ করেছে। আমরা সড়ক নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে,এলাকাবাসীরা কোনো প্রতিকার পাঁচ্ছে না। কবির নামে একজন ট্রাক্টর চালক বলেন, পুকুরের খননকৃত মাটি নাটোরের ইটভাটার মালিকরা কিনে নিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুসনা ইয়াসমিন বলেন, এক শ্রেণীর লোকজন প্রতিদিন এই এলাকায় একরের পর একর তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। পুকুর খনন বন্ধ করার বিষয়টি আমার উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, আমরা পুকুর খননের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে বন্ধ করে দিচ্ছি। আমি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) মিলে মাঝেমধ্যে ভেকুর ব্যাটারি খুলে আনছি। পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য জেলা পুলিশ সুপার মহাদয়ের কড়া নির্দেশ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছেন। তবে শুনেছি সম্প্রতি সময়ে পুকুর মালিকরা কোথাও কোথাও গোপনে রাতের আধাঁরে খনন কাজ করছে। কিন্তু সকালে অভিযানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন হবে, সেখানেই জেল জরিমানা দেওয়া হচ্ছে।