আজ ১৪ই মার্চ, বিশ্ব পাই দিবস। প্রতি বছর এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী গাণিতিক ধ্রুবক ‘পাই’ (π)-এর সম্মানে ‘বিশ্ব পাই দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪, তাই প্রতি বছর মার্চ ১৪ (৩/১৪) তারিখে পালিত হয়।
পাই দিবস কখনও কখনও ১৪ মার্চ দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে উদযাপন করা হয়। এই দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটকে পাই মিনিট নামে আখ্যায়িত করা হয়। দুপুর ১টা ৫৯ মিনিট ২৬ সেকেন্ডকে পাই সেকেন্ড বলা হয়। পাই সেকেন্ডে পাই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে পাইয়ের মানের (৩.১৪১৫৯২৬) কাছাকাছি সময়ে দিবসটি উদ্যাপন করা সম্ভব হয়।
‘পাই দিবস’ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রদানের জন্য সুখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনেরও জন্মদিন। আবার এই একই দিনে মৃত্যুবরণ করেন আরেক বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং।
১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো ‘পাই দিবস’ পালিত হয় সানফ্রানসিসকোর একটি বিজ্ঞান জাদুঘরে। জাদুঘরের বৃত্তাকার স্থানে এর কর্মচারী ও দর্শনার্থীরা মিলে কেক (পাই) খেয়ে দিনটি উদ্যাপন করেন।
ওই জাদুঘরের কর্মকর্তা পদার্থবিদ ল্যারি শ এই দিবস উদ্যাপনের উদ্যোক্তা বলে তাকে ‘পাই-এর রাজপুত্র’ বলা হয়।
বাংলাদেশে পাই দিবস
২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে ‘পাই দিবস’ উদযাপন হয়ে আসছে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে দেশে এই দিবস পালিত হয়। দেশের বেশ কিছু গণিত ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে দিবসটি পালিত হয়। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে পাই শোভাযাত্রা, পাই-এর মান বলা, পাই নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে পাই দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময়। ক্রমেই এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া