২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু। প্রায় দেড় যুগ পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে দারুণ এক মাইলফলকে নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জস বাটলারের সঙ্গে টস করেই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৪০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। গোটা বিশ্বে এই স্বাদ পেয়েছেন আর ১০ জন। বিশ ওভারের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৬২৩ ম্যাচ খেলেছেন কাইরন পোলার্ড। এ ছাড়া পাঁচশর বেশি ম্যাচ ম্যাচ খেলেছেন ডোয়াইন ব্রাভো (৫৫৮ ম্যাচ) ও শোয়েব মালিক (৫১০)। ২০১১ সালের আইপিএল থেকে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় নিয়মিত খেলে আসছেন তিনি। এতে সমৃদ্ধ হয়েছে তার রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত ২২টি দলের হয়ে তিনি খেলেছেন টি-টোয়েন্টিতে। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ২৫৭টি, তামিম ইকবাল ২৪৮টি ও মুস্তাফিজুর রহমান খেলেছেন ২১৭টি। এই ম্যাচের আগপর্যন্ত বিশ ওভারের ক্রিকেটে ৩৯৯ ম্যাচে ৩৬৭ ইনিংস খেলে ২৯ ফিফটিতে ৬ হাজার ৭১১ রান করেছেন সাকিব। সর্বোচ্চ ৮৯ রান। সবশেষ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৩ বলে এই রান করেন তিনি। বল হাতে ৩৯২ ইনিংসে সাকিবের শিকার ৪৪৫ উইকেট। এই সংস্করণে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু চারজন বোলারের। সাকিব ম্যাচে ৪ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন ১৪ বার। সেরা বোলিং ৬ রানে ৬ উইকেট। ২০১৩ সালের অগাস্টে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন সাকিব। প্রায় ছয় বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল এটি। ২০১৯ সালের অগাস্টে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সাকিবের রেকর্ড ভাঙেন কলিন অ্যাকারম্যান। ক্যারিয়ারের ৪০০ ম্যাচের মধ্যে ১৪০টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। এর মধ্যে জয় পেয়েছেন ৭৭ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে এই সংখ্যাকে আরও এক ধাপ বাড়ানোর সুযোগ বাংলাদেশ অধিনায়কের সামনে।