দিঘলিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরো ১৮০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। মুজিববর্ষের অঙ্গিকার দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আজ ২২ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ে নির্মিত এসব ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। যার মধ্যে দিঘলিয়া উপজেলায় ১৮০টি ঘর রয়েছে। ২১ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে। স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২ শতক জমিতে নির্মিত সেমিপাকা টিনশেড ঘরে রয়েছে ২টি কক্ষ, ১টি রান্নাঘর, ১টি বাথরুম ও ১টি বারান্দা। দিঘলিয়া উপজেলায় ৪র্থ পর্যায়ে বারাকপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ারচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৪টি পরিবারের মধ্যে ১৪টি ঘর দিঘলিয়া ইউনিয়নের ঘোষগাতী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৮টি পরিবারকে ৩৮টি ঘর ও সেনহাটি ইউনিয়নের চন্দনীমহল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৬৩টি পরিবারের মধ্যে ৬৩টি ঘরের চাবি জমির দলিলসহ হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া দিঘলিয়া উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ৬৬টি ঘরের কার্যক্রম বাকী রয়েছে। যা আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ নিয়ে দিঘলিয়া উপজেলায় মোট ৩৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের চাহিদার অনুকূলে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৩৮১টি ঘরের। কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ৩১৫টি ঘরের। কার্যক্রম বাকী আছে ৬৬টি ঘরের। যার জন্য দিঘলিয়ায় জায়গা ক্রয় করা হয়েছে এবং ব্রহ্মগাতীতে মাটি ভরাট সম্পন্ন করা হয়েছে। অপরদিকে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী এর নিজস্ব অর্থায়নে ৯টি ঘর নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। দিঘলিয়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৭০টি, ২য় পর্যায়ে ৩০টি ও ৩য় পর্যায়ে ১০০টি ঘর মোট ২০০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আজ বুধবার ১১৫টি পরিবারকে ঘরসহ জায়গার দলিল হস্তান্তর করা হবে। অবশিষ্ঠ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভূমিহীন-গৃহহীনদের বাছাই এবং ঘরের নির্মাণ কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হলে ছাড় দেওয়া হবেনা। এমনকি ইতোপূর্বে যারা ঘর পেয়েছে সেখানে ঘর বরাদ্দে কোন অনিয়ম বা জমি আছে এমন ব্যক্তিরা ঘর পেয়েছে বলে প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মাহমুদুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন প্রমুখ।