পটুয়াখালীর বাউফলে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন পালনের সংঘর্ষে বাউফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার আহতের ঘটনায় ১৪ দিন পর এমপির অনুসারী আওয়ামী লীগের ২ চেয়ারম্যানসহ ১৬ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির হোসেন মোল্লাকে ওই মামলায় ১ নম্বর এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, চন্দ্রদ্বীপ ইউঃপিঃ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজের অনুসারী। এ মামলায় মোঃ জাফর (৩৭) ও শামীম (৩২) নামে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ ৩গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি ঘোষনা করেন। বেলা সারে এগারটার দিকে জনতা ভবন থেকে বাউফল সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ এমপি সমর্থিত নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার ২০ সহ¯্রাধিক জনতার র্যালীটি উপজেলা পরিষদ গেটে পৌছায়। অপরদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হওলাদার সমর্থিত র্যালিটি জনতা ভবনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ গেটে পৌছালে পুলিশী বাধার মুখে পরে। মিছিলটি পুলিশী বাধা অতিক্রম করতে চাইলে পুলিশের সাথে সংঘর্সের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। একপর্যায়ে দু গ্রুপের সংঘর্সের রুপ নেয়। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার সহ উভয় গ্রুপের ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ওসি এ টি এম আরিচুল হক। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’