দলের সঙ্গে আগেই যোগ দিয়েছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের সেরা একাদশে সুযোগ পেলেন। কিন্তু এবারের আইপিএলে তার প্রথম ম্যাচটি সুখকর হলো না। ৪ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেও রোহিত শর্মার জ্বলে ওঠার দিনে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শেষ বলে জয় পেয়েছে ৬ উইকেটে। এদিন অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে অলআউট হয় ১৭২ রানে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ৪৭ বেলে ৫১ ও অক্ষর প্যাটেল ২৫ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৫৪ রান করেন। মানিষ পান্ডে ২৬ ও পৃথ্বি’শ করেন ১৫ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান পাননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ও ইশান কিষানের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় মুম্বাই। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে মুম্বাই। রোহিত ৪৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৫ রান করে মোস্তাফিজের বলে আউট হন। তিলক ভার্মা ১ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৪১ রান। আর ইশান কিষান ২৬ বলে ৬ চারে করেন ৩১ রান। এদিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন ডেভিড ওয়ার্নার। বল হাতে প্রথম ওভারে ৩টি চার হজম করে ১৩ রান দেন। ১৫তম ওভারে তাকে আবার বোলিংয়ে আনেন ওয়ার্নার। এবার দুর্দান্ত এক ওভার করেন। রোহিত শর্মা ও তিলক ভার্মাকে খেলারই সুযোগ দেননি। মাত্র ২ রান দেন এই ওভারে। ১৭তম ওভারে আবার আসলে প্রথম বলেই রোহিত ডিপ স্কয়ার লেগ ও ডিপ মিডউইকেট দিয়ে কোনোরকমে একটি চার মারেন। পরের তিন বল ডট দেন। পঞ্চম বলে রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান। ষষ্ঠ বলে ক্যামেরন গ্রিন একটি চার মারেন। ১৭তম ওভারে ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন ফিজ। তার করা ১৯তম ওভারটি অবশ্য ব্যয়বহুল ছিল। ডেথ ওভারে বল করতে আসলে গ্রিন ও টিম ডেভিড দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ওই ওভারে ১৫ রান তুলে জয় হাতের নাগালে নিয়ে আসেন। এই ওভারটি আর একটু চেক দেওয়া গেলে দিল্লি হয়তো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো।