চিরিরবন্দরে প্রথম শ্রেণিতে পড়-য়া ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষনের ঘটনায় পরিবারের হাতে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনাটি উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের হরিশ্চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আইয়ুব হোসেনের দোকান ঘরে ঘটেছে।
সরজমিনে গেলে ওই শিশুর নানী জাহানারা বেগম জানান, গত ৮ এপ্রিল শনিবার সকাল ৬ টায় তার প্রথম শ্রেণিতে পড়-য়া ৬ বছরের নাতনী বাড়ি ও স্কুলের পাশে দোকানের সামনে সুপারী কুড়াতে গেলে একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে দোকানদার লম্পট জাহিদুল ইসলাম (৩৫) তার মূর্খ চেপে ধরে দোকানের ভিতরের গোপন ঘরে নিয়ে গিয়ে অঘটন ঘটায়। সন্ধার পর তার নাতনীর চোখ মুখ ফুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ও পরদিন সকালে প্রসাব বন্ধ হয়ে গেলে তার নাতনী তাকে সব খুলে বলে। তখন নাতনীকে নিয়ে ওই দোকানে ও দোকান মালিকের বাড়িতে গেলে অভিযুক্তসহ সকলেই বকাবকি করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তিতে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে তাকে জানালে রাতে ইউপি সদস্যসহ অভিযুক্তরা মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। রাতেই ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, স্থানীয় যুবক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, মমিনুল ইসলাম, ফরহাদসহ কয়েকজন ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় মিমাংসা করে এবং তাকে ১ লক্ষ টাকা দেয়।
ওই শিশুটির মা হোসনে আরা জানান, তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা হওয়ায় বাবার বাড়িতে থাকেন। মেয়েটির বাবা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি। এ ঘটনায় এলাকার কয়েকজন আপস করে দিছে এবং বলেছে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বলে ১ লক্ষ টাকা হামাক জোর করি দিছে এবং সাদা কাগজত ও স্ট্যাম্পত সই নিছে। আপোষনামা কার কাছে আছে জানতে চাইলে তারা জানান, টুটুল নামে একজনের কাছে আপোষনামাটি আছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই শিশুটি এখনও অসুস্থ্য। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী পক্ষ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহিদুলের মুঠোফোন নম্বর ০১৭২১-৫৬ ৪৫ ৯৬ কল দিলে নম্বরটি ব্যবহার হচ্ছেনা বলে জানা যায়। তার ছোট ভাই মানিক হোসেন জানান, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে মিটমাট হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কেউ অভিযোগ করেনি। তবে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা শুনেছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বজলুর রশিদ জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ থানায় এখনও পর্যন্ত আসেনি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তথাপিও বিট অফিসারের মাধ্যমে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ধর্ষণজনিত কোন ঘটনা স্থানীয়ভাবে আপস মিমাংসার কোনো সুযোগ নাই। জনস্বার্থে যেকেউ মামলা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, আদালতে পারবেন।