সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সহোদরের মারপিটের শিকার হন আঞ্জুয়ারা খাতুন (৪০) নামে এক বিধবা নারী। মারপিটের একপর্যায়ে তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ঘরে। কিছুক্ষণ পর সেখানেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে ওই নারীকে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পনিয়া গ্রামে। নিহত আঞ্জুয়ারা খাতুন পূর্ব পানিয়া গ্রামের মৃত আহছানউল্যাহ শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাইসহ তিন জনকে হেফাজতে নিয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, একমাত্র ছেলের জন্মের কিছুদিন পর স্বামী নজরুল ইসলাম হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন। বিধবা ওই নারী শ্যামনগরে অবস্থিত স্বামীর বাড়ি থেকে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ছেলে জাহিদ হাসানকে নিয়ে প্রায় ২০ বছর আছেন বাবার বাড়িতে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে রোববার সকালে আঞ্জুয়ারার সাথে তার মেজ ভাই আবদুল মজিদ শেখের (৫৫) ঝগড়া হয়। এ সময় আঞ্জুয়ারা ছুরি নিয়ে তার ভাইকে আঘাত করতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল মজিদ শেখ তার বিধবা বোনকে মারধর করে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। ঘর থেকে কোন প্রকার সাড়াশব্দ না পেয়ে কিছুক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা দরজার তালা খুলে ঘরের ভিতরে যেয়ে চৌকিতে আঞ্জুয়ারা খাতুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ বেলা ১ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাই আবদুল মজিদ শেখ, তার ছেলে আবু হাছান (৩৫) ও অপর ভাই আবদুল আলীম শেখের ছেলে আরিজুল ইসলামকে (২২) থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন রহমান জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু ধারণা করা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর সঠিক ঘটনা জানা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।