ঈদ পরবর্তী তেঁতুলিয়ায় চিত্তোবিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় জমেছে। কিন্তু তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার এলাকায় গাড়ী পার্কিং মাঠ না থাকায় অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাংলাবান্ধা-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের দুধারে পর্যটক আরোহী গাড়ীগুলো সারিবদ্ধ করে রাখায় সাধারণ পথচারী ও ছোট যানবাহন চলাচলকারীদের দূভোর্গ পোহাতে হয়। তবে তেঁতুলিয়া ট্যূারিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ঈদের দিন বিকালে ছাড়াও পরের দু’দিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট, ডাকবাংলো, পিকনিক কর্ণার, ইকোপার্ক, রওশনপুর আনন্দধারা ও সমতলে চা বাগান দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। এদিকে উপজেলা প্রশাসন পর্যটন নগরী তেঁতুলিয়াকে আরও দৃষ্টিনন্দর ও পর্যটকের আকর্ষনীয় করার জন্য মহানন্দা পার্ক, পিকনিক কর্ণারে চা কন্যার ভাস্কর্য, কৃত্রিম পাগলি, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঢেকি, রবিন্দ্রনার্থের ভাস্কর্য, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার, বঙ্গবন্ধু যাদুঘর, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, তেঁতুলিয়া লাভ কর্ণার, তোতা পাখি হাতি, ছিতাবাঘ, বানর, খোরগোশ ইত্যাদি পশু প্রাণির ভাস্কর্য সহ শিশুদের খেলার জন্য দোলনা, স্লিপার, নাগরদোলা স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া তেঁতুলিয়া বাইপাস রবিন্দ্রনাথ স্মরনী, কবি নজরুল স্মরণী, তিরনইহাট মোড়, বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট, মাঝিপাড়া (কালান্দিগঞ্জ) এবং ভজনপুর ব্রীজের পাশে এবং তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারে দৃষ্টি নন্দন কিছু ভাস্কর্য ও মোড়াল স্থাপন করা হয়। স্বপ্নের শহর তেঁতুলিয়ায় দেশের দূরদূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা স্থির চিত্র ধারণ করতে ঐসব ভাস্কর্যে ভিড় জমান। এছাড়াও আগন্তুক পর্যটকদের জন্য দর্শীয় স্থান হলো তেঁতুলিয়া পুরাতন বাজারে শীপ মন্দির, বোম্বাই/ কাঞ্চন বাঁশ, হলুদ বাঁশ ও খালি চোখে খুব কাঁচাকাছি কাঞ্চনজক্সঘা দেখা। তবে কাঞ্জনজক্সঘা আকাশ অপরিস্কার থাকলে দেখা যায় না। বন্ধুদের সংগে রংপুর থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক আবদুল করিম বলেন, ঈদের ছুটিতে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন দর্শর্নীয় স্থান যেমন বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার, সবুজ চা ও কমলা বাগান, ঘুরেছি। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে অন্যান্য স্পট চা কারখানা, রওশনপুর মিনা বাজার, আনন্দধারা, সমতলে নুঁড়ি পাথর কোয়ারি ও ঐতিহাসিক মহারাজার দিঘি দেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি।
তেঁতুলিয়া ট্যূারিস্ট পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, তেঁতুলিয়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে ট্যূারিস্ট পুলিশ, তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুশিল সমাজ এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তার বেস্টনি তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন পর্যটক যেনো অনিরাপত্তায় না ভূগেন সেই জন্য সাদা ও খাকি পোষাকে একাধিক টীম মাঠে নিয়োজিত আছে। ইহারপরও যদি কোন পর্যটক কোন সমস্যার সম্মুখীন হত তবে সহযোগিতার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।