রাজশাহীর তানোরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৬ টি কেন্দ্রে প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ৬৮ জন পরীক্ষার্থী।এর মধ্যে তানোর পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলো ৬ জন পরীক্ষার্থী। তালন্দ আনন্দ মোহন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলো ৯ জন পরীক্ষার্থী।
বিল্লি স্কুল এ- কলেজ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলো ৩ জন পরীক্ষার্থী। মুন্ডমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলো ১০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো।
চৌবাড়িয়া মালশিরা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। অপর দিকে মুন্ডমালা কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩১ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো।
৩০ এপ্রিল রোববার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও দাখিল এবং ভোকেশনাল পরীক্ষা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলায় ৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্র, এর মধ্যে ৪ এসএসসি, ১টি দাখিল ও ১ টি ভোকেশনাল পরীক্ষা।
তানোর উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬১৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার জন্য ফরম পুরন করেন। এর মধ্যে প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষায় ৬৮ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো।
এর মধ্য সব চাইতে বেশী অনুপস্থিত ছিলো ৩১ জন পরীক্ষার্থী। মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য ফরম পুরুন করেন ৪৫১ জন। উপজেলায় ২৮ টি মাদ্রাসা রয়েছে গড়ে ১৬ জন করে প্রতিষ্ঠান হিসেব আসে।
মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিব সিনাশো সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন, ৩১ জন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নি।
কি কারণে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রীদের বিয়ে ও কোন কর্ম করতে হয়তো বাহিরে আছেন।
তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এসব বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ ফরম পুরুন করেছে পরিক্ষায় অংশ নিবে না এটা হতে পারে না।
যে মাদ্রাসা থেকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নি তাদের বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডকে অবহিত করা হবে।.
উপজেলায় ৬ টি ভোকেশনাল স্কুল থেকে এবারে ফরম পুরুন করেন ১৩৮ জন পরিক্ষার্থী, যা গতবার ছিল ২২০ জন।
উপজেলার শেষপ্রান্ত মালশিরা ভোকেশনাল স্কুলে কেন্দ্র করা হয়। যার কারণে পরিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন শিক্ষক রা।
যাতায়াতের জন্য দ্বিগুন ভাড়া ও সময়মত উপস্থিত হতে না পরারও একটা কারণ বলেও অনেকের ধারনা।
কেন্দ্র সচিব কফিল উদ্দিন বলেন, এবারে ১৩৮ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য ফরম পুরুন করেন।
কিন্তু প্রথম দিনে ৯ জন পরিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদিকে চারটি কেন্দ্রে এসএসসি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর সদর মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিক্ষারর জন্য ফরম পুরুন করেন ৭৬৭ জন। এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৬ জন বলে জানান কেন্দ্র সচিব মাইনুল ইসলাম।
তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬২০ জন পরিক্ষায়য় অংশগ্রহনের জন্য ফরম পুরুন করলেও ৯ জন অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানান কেন্দ্র সচিব আলতাব হোসেন।
কিসমত বিল্লি স্কুল এ- কলেজে ৬১৪ জন ফরম পুরুন করলেও অনুপস্থিত ছিলেন ৩ জন বলে জানান কেন্দ্র সচিব অধ্যাক্ষ জামিলুর রহমান
মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ২৭ জন পরিক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পুরুন করলেও ১০ জন পরিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলেন জানান ওই স্কুলের শিক্ষক কামাল হোসেন।
কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক কামিল মার্ডির মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, যে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে অনুপস্থিত হয়েছে ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ ছুটি আছে, মঙ্গলবারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন।