নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন চেংমারি পাড়া হয়ে পোড়ারহাট পর্যন্ত রাস্তা পাকা হচ্ছে। এ কাজে সরকারী বরাদ্দ দেয়া হয় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কাজটি করছে মেসার্স খায়রুল কবির রানা নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ কাজ শুরু হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার গ্রামবাসির মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকার একটি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের। অবশেষে তা পুরণ হতে চলেছে। উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের চেংমারি পাড়া হয়ে পোড়ারহাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ কাজ চলছে। এ রাস্তাটি ছিল এলাকার মানুষের যাতায়াতের একটি মাত্র পথ। এ পথ দিয়ে চেংমারী পাড়া,কুটিপাড়া এবং পোড়ারহাট এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
এলাকার লতিফা বেগম জানান, গ্রীষ্মকালে এ রাস্তাটি থাকে হাঁটু পর্যন্ত ধুলায় ভরা। এ পথে চলাচল করলে পড়নের কাপড় ধুলোয় সাদা হয়ে যেত। রাস্তাটির কাজ শুরু হওয়ায় আমরা আনন্দ উপভোগ করছি। কারণ এটি পাকা হলে আর ধুলোয় গাঁ ও কাপড় সাদা হবে না।
ওই এলাকার ভ্যান চালক মশিয়ার রহমান জানান, গ্রীষ্মে রাস্তাটি থাকে ধুলোয় পরিপুর্ণ। সে সময় ভ্যানের চাকা পর্যন্ত তলে যায় ধুলোয়। গাড়া চালাতে খুব কষ্ঠ হয়। অপরপাশে বর্ষাকালে রাস্তাটি ভরে যায় কাঁদায়। তখনও গাড়ীর চাকা কাঁদায় তলিয়ে যায়। গাড়ী টানতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। এখন আর সেই কষ্ঠ পোহাতে হবে না। আশা করি রাস্তাটির কাজ দ্রুত সময়ে শেষ হলে আমরা গ্রামবাসি যাতায়াতে উপকৃত হবো।
কুটিপাড়ার বাসিন্দা আবদুর রহিম ও আবদুর রউফ জানান, রাস্তাটির কাজ চলমান থাকায় আমরা অনেক খুশি। কারণ রাস্তাটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েয়ে। আর বাকিটুকু করতে হয়তো বেশিদিন লাগবে না। এটি পুরোপুটি শেষ হলে আমাদের যাতায়াতে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি আবদুল সবুর আলম বলেন,সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এ কাজে কোন ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। একটি কুচক্রী মহল রাস্তার কাজ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সরকারের উন্নয়নমুলক কাজে বিঘœ সৃষ্টি করছে। নিন্দুকেরা জানেন না যে, এ কাজটি প্রতিনিয়ত তদারকি করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সৈয়দপুর। ঠিকাদারের পক্ষ থেকে বলা হয় ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি এ কাজটি শুরু করা হয়। সে সময় মহামারি করোনার কারণে দেশের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। যার কারণে কাজটি শুরুর পর পরই বন্ধ থাকে। এরপর সরকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ঘোষণা করে। তাই কাজে কিছুটা সময় পার হয়ে যায়। এটি করোনার কারণে হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী এম এম আলী রেজা রাজু জানান,কাজটি সম্পন্ন করতে আমি ঠিদাকারকে তাগাদা দিয়ে আসছি। তিনি দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করবেন বলে জানান।