খুলনার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ বাইনবাড়িয়ার কাঁঠালতলা ঋষিবাড়ি ব্রিজ এ্যাপ্রোস সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছেন গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আবদুস সালাম কেরু। তিনি ব্যক্তিগত তহবিল ও কর্মসৃজন প্রকল্পের জনবল দিয়ে ব্রিজের দু’পাশের সড়ক মেরামত করছেন। উল্লেখ্য, অত্র ব্রিজটি উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়ন এবং কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের সীমান্তে ঘোষখালী নদীর উপর অবস্থিত। ব্রিজের দু’পাশের এ্যাপ্রোস সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না করার ফলে সড়কের মাটি নদীতে পড়ে সড়কটি নীচু, ঢালু এবং সরু হয়ে গেছে। ফলে একদিকে যেমন বড় ধরণের কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনা তেমনি ছোট ছোট যানবাহনঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করলেও প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। পাশাপাশি বাইনবাড়িয়া-কুমখালী এলাকার উৎপাদিত কৃষি ফসল পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার কৃষকরা। শিক্ষার্থী সুব্রত দাশ জানান, মেরামত করার পর সড়ক দিয়ে স্কুলে যেতে অনেক সুবিধা হবে। কুমখালী গ্রামের গৃহবধূ প্রমিলা বর্মণ জানান, আমাদের এখন যাতায়াত অনেক সহজ হবে। বাইনবাড়িয়া গ্রামের সন্ধ্যা দাশ জানান, অনেক যানবাহন ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। দক্ষিণ বাইনবাড়িয়া গ্রামের খগেন্দ্রনাথ দাশ জানান, মেরামত কাজ শেষ হলে এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য খুব সহজেই সরবরাহ করা যাবে। প্রকল্প সরদার পুষ্পেন সরদার জানান, সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে এলাকার কৃষকরা অনেক লাভবান হবে। চান্নিরচক গ্রামের বিধান চন্দ্র বৈদ্য জানান, মেরামতের ফলে দুই উপজেলার সংযোগ যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো অনেক উন্নত হবে। গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আবদুস সালাম কেরু জানান, ব্রিজের এ্যাপ্রোস সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ চলাচল করছিল। এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যের সরবরাহ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই ব্যক্তিগত তহবিল ও কর্মসৃজন প্রকল্পের জনবল দিয়ে সড়কের দুই পাশে গাইডওয়াল ও মাটি ভরাট করা হচ্ছে। মেরামত কাজ শেষ হলে আশা করছি এলাকার মানুষ সহজেই সড়কদিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এবং পাশাপাশি দুই উপজেলার মধ্যে চমৎকার একটি সেতুবন্ধন তৈরী হবে।