নিস্ক্রিয় নেতৃত্ব নিয়ে বিপাকে পরেছেন জেলা যুবদল। তোষামদ করে পদণ্ডপদবী বাগিয়ে নিলেও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নেই তাদের। দু’চারজন যারা মাঝে মধ্যে অংশগ্রহণ করছেন তাদের নেই কর্মী বাহিনী। ফলে বেশ কয়েকজন নেতার কাছে দলীয় কর্মসূচি এখন শুধু ফেসবুকমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্রমতে, দু’একটা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে নেতৃবৃন্দদের সাথে ফেসবুকে ছবি আপলোড করাই হচ্ছে এখন ওইসব নেতার কাজ। যে কারণে জেলা যুবদলের বাকী স্বক্রিয় নেতাদের ওপর চাঁপ বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। কর্মসূচিগুলোতে কর্মী হাজির করা বা মিছিল মিটিং সফল করতে চাঁপ নিতে হচ্ছে তাদের। ফলে জেলা যুবদলের স্বক্রিয়দের সমন্বয়ে সামনের নতুন কমিটি গঠনের দাবি তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের।
দলীয় একাধিক সূত্র জানা গেছে, যুবদলের সাবেক সভাপতি প্রয়াত পারভেজ আকন বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম উদ্দিনকে তোষামদ করে পদবী বাগিয়ে নেওয়া নেতারাই মূলত নিস্ক্রিয়। আবার এসব নেতৃবৃন্দদের অনেকেই সামনের কমিটিতে বড় পদ পেতে তদ্বির করছেন। সূত্রমতে, নিস্ক্রিয় নেতাদের এমন তালিকায় রয়েছেন, সহসভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারন সম্পাদকরাও। সহসভাপতির মধ্যে রয়েছে, সাইফুল ইসলাম আব্বাস, কামাল হোসেন রুবেল, একে এম ফজলুল বাড়ি চয়ন, মিজানুর রহমান, জাকির হোসেন ফকির, শাহারিয়ার অসীম, মহসিন মিয়া লিটন, হরি উদ্দিন মো. ফিরোজ, মো. রুবাইয়াত আহমেদ, অ্যাডভোকেট মোর্শেদ মামুন, নূরুল আমীন মোল্লা, মাসুদ হোসেন মোল্লা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে রয়েছেন-মাওলা রাব্বি শামিম, মনিরুল ইসলাম, উলফত রানা রুবেল, রফিকুল ইসলাম রাহাত, হাবিবুল্লাহ, মজিবুর রহমান মাসুদ, কাইয়ূম উদ্দিন ডালিম, খবির সিকদার, সাহাবুদ্দিন আকন সাবু, হারুন অর রশিদ, মোজাম্মেল হোসেন লাদেন, শোয়েব আলম খান শাহীন। সহসাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনির, মাকসুদুর রহমান সজল, সোহেল খান, অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া লিপু। দপ্তর সম্পাদক মঈনুল আবেদিন তুহিন। প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজিব। সহপ্রচার সম্পাদক মৃধা খালেকুজ্জামান বাহাদুর। কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলী আকবর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদের মধ্যে কেউ মূল দল বা অন্য অঙ্গ সংগঠনে চলে গেছে কেউ বিদেশ গিয়েছে কেউ মাদক নিয়ে আটক হয়েছে, আবার কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করছে, কেউ অন্য পেশায় ঢুকেছে, আবার কেউ কেউ পুলিশের ভয়ে রাজনীতি থেকে দুরে সরে নিস্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণ হয়েছিল যুবদলের। তারপর থেকেই নিস্ক্রিয় নেতাদের অনুপস্থিতি বা কর্মী সমাগম করতে না পারার খেসারত দিতে হচ্ছে স্বক্রিয় নেতাদের।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি একেএম ফজলুল বারি চয়ন জানান, যুবদলের কমিটি শীঘ্রই গঠন হতে পারে। দলীয় কর্মসূচি থাকলে অংশগ্রহণ করছি। আপাতত এর বেশী ভাবতে চাইনা, প্রার্থীও হতে চাই না। আগে নিজেকে গুছিয়ে নেই তারপরে আবার রাজনীতি। এদের বিষয়ে এইচএম তছলিম উদ্দিন জানান, যারা নিস্ক্রিয় তাদের পদত্যাগ করা উচিত। শুধু পদ আগলে রাখলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনেকের দুজন কর্মী আনার ক্ষমতা নেই। নেতাদের তোশামত করে পদণ্ডপদবী নিয়েছেন। সভা, সমাবেশে সামনে থাকার প্রতিযোগিতায়ও এরাই করছে। অনেকে মিছিলের অগ্রভাগে এসে ছবি তুলে তা ফেসবুকে দিয়েই নেতা সাজে। আসলে এদের জন্যই দলের বিপর্যয় হচ্ছে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার জানান, আপনারা নিস্ক্রিয় নেতৃবৃন্দদের তালিকা প্রকাশ করেন। আমরাও ভালকরে জানি করিা ¯^িক্রয় আর কারা নিস্ক্রিয়। অনেকেই শেষ সময়ে স্বক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছেন। আগামীতে যারা যোগ্য তাদের হাতেই নেতৃত্ব দেওয়া হবে।