পিরোজপুরের কাউখালীতে মোখা মোকাবেলায় প্রস্তুত ৪৫ আশ্রয় কেন্দ্র। কাউখালী উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে আলাদা আলাদা ভাবে এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও দুর্যোগ পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে কাউখালী উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক মিটিং করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অপর দিকে নদীর তীবরর্তী ১০ গ্রামের মানুষের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকাল থেকে রোদ অস্বাভাবিক গরম মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া কারণে মানুষের ভিতরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলার অস্থায়ী বেড়িবাঁধ, ফসলি জমি, বসতবাড়ির কয়েক হাজার পরিবার রয়েছে হুমকির মুখে।
বিভিন্ন এলাকায় লাল পতাকা ও টাঙানো হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিগণ মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। শনিবার (১৩ মে) কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া ও কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা জানান, কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় মোকামেলার জন্য ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিপদে ধৈর্য ধরতে হবে। উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুনু বেগম জানান, আমাদের কন্ট্রোলরুম ২৪ ঘন্টা খোলা আছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা ইনশাআল্লাহ প্রস্তুত আছি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।