রাজশাহীর বাঘার পদ্মায় ধরা পড়েছে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে 'সাকার' মাছ। শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী পদ্মা নদী এলাকার এই মাছটি জেলে জগলু হোসেনের জালে ধরা পড়ে। জগলু হোসেনে চকরাজাপুর চরের বাসিন্দা।
জানা যায়, সাকার এ মাছের পিঠের ওপরে বড় ও ধারালো পাখনা আছে। দুই পাশেও রয়েছে একই রকমের দুটি পাখনা। অ্যাকুরিয়ামে রাখার জন্য এ মাছ কোন এক সময়ে আনা হয়েছিল। পরে মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ মাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ মাছ জলাশয়ের একেবারে তলায় থাকে। সে কারণেও পরিবেশের জন্য উদ্বেগজনক।
পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত গেজেট জারি করে দেশে সাকার মাছ আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, মজুদ, লালন পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর চরের জেলে জগলু হোসেন বলেন, আমি পদ্মায় জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। পদ্মায় জাল ফেলে কিছুক্ষণ পর জাল টেনে দেখি প্রায় সাড়ে ৩০০ গ্রাম ওজনের এ ধরণের একটি মাছ জালে আটকে পড়েছে। পরে মাছটি চকরাজাপুর বাজারে নিয়ে গেলে অনেকেই দেখেছেন। পরে এ মাছটি মাটিচাপা দিয়ে পুতে রাখা হয়েছে। এ ধরনের মাছ কয়েকদিন আগেও একটি ধরা পড়েছিল।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম বলেন, সাকার মাছ দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে মাছের বংশস্তিারে ক্ষতি করে। এ মাছের জীবন অনেক শক্তিশালী। এ মাছ দ্রুত বংশ বিস্তার করে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সাকার মাছের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারেনা। এ মাছ জলজ পরিবেশ নষ্ট করে।