রাজশাহীর তানোরে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে চাচাতো ভাই বোনদের মধ্যে মারামারিতে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায তানোর থানায় পৃথক ২ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপি ধানুরা গ্রামে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতরা হলেন, ধানুরা গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র হারেস আলী (৪৫) ও তার ভাই বাবুল হোসেন (৪০)। এদেরকে প্রথমে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়। অপর পক্ষ চাচাতো ভাই একই গ্রামের মৃত সরুত আলী মন্ডলের পুত্র সৌদি প্রবাসী সফিউল (৫০) শামিম (৪৪) ও বোন ফাহিমা (৪২)। এদেরকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ, অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ধানুরা গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্রদের সাথে সুরত আলীর ভাই মৃত জহির উদ্দীনের পুত্রদের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিলো।
গত বুধবার দুপুরে উভয় পক্ষ স্থানীয় আমিনকে ডেকে জমির মাপযোগের এক পর্যাযে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হলে গ্রামবাসীরা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বুধবার রাতে এ ঘটনায় ধানুরা গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্র শামিম উদ্দীন বাদি হয়ে মৃত জহির উদ্দীনের পুত্র মুকবুল হোসেনসহ ৩ জনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর দিকে বুধবার একই সময়ে মুকবুল হোসেনের স্ত্রী পারভীন বাদি হয়ে মৃত সুরত আলীর পুত্র মতিউর রহমানসহ ৭ জনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এএসআই মজনু বলেন, বাটোয়ারা দলিল না হওয়া পর্যন্ত এ দ্বন্দ চলতেই থাকবে। তিনি বলেন, সবাই সুস্থ্য হলে আপোষের চেষ্টা করা হবে। আপোশ না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। অভিযোগকারী পারভিন বলেন, জমি মাপযোগের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা দেশীয অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা করে মাথা ফাটিযে দিয়েছে। তিনি বলেন, মাথার আঘাত গুরুতর এজন্য বৃহস্পতিবারে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। অপর পক্ষের অভিযোগকারী শামিম উদ্দীন বলেন, কথা চলা অবস্থায় আমার প্রবাসী ভাই সফিউলকে হত্যার উদ্দ্যোশে কুদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে কিন্তু সে হাত দিয়ে রক্ষা করতে গিয়ে ডান হাতের আঙুল ভেঙ্গে গেছে এবং আমার ডান হাতের শিনার হাড় ভেঙ্গেগেছে। তিনি বলেন আমার বোন ফাহিমার হাতের আঙ্গলও ফ্যাকচার হয়েছে। শুধু তাই না হাসপাতালে বোনকে মেরে বেড থেকে সরিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে সবাই বারান্দায় আছি। গ্রামবাসীরা বলেন, তারা আপন চাচাতো ভাই বোন, জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে হামরা ও মারপিটের ঘটনা ঘটছে। উভয় পক্ষ যে ভাবে উত্তেজিত হয়ে আছে যে কোন মুহুর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় পৃথক ২ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।