ঝালকাঠির রাজাপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করায় ৬ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার ডহর শংকর এলাকার আলমগীর হোসেন ওরফে সিংঙ্গা আলমগীরের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় আশ্রায় দাতা মাষ্টার মাইন্ড আলমগীরকে আটক না করায় এলাকার তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। রাজাপুর থানায় ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান নামে একজন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। রোববার দুপুরে এদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)সঞ্জীব কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট উপজেলার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শহীদুল ইসলাম হাওলাদার (৫৯), ঝালকাঠির গোয়ালকান্দা এলাকার বকলু হাওলাদারের ছেলে এনায়েত হাওলাদার (৪২), লক্ষীপুর সদরের মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে কামাল উদ্দিন(৪৫), ভোলার দক্ষিণ আইচা এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আমান উল্লাহ, (৩৯), লালমোহন এলাকার মৃত শাওকত হাওলাদারের ছেলে শামিম হাওলাদার, (১৮) ও নোয়াখালীর শ্রীনন্দ এলাকার মৃত আবুল মোবারকের ছেলে সৈয়দ মোঃ নিজাম উদ্দিন (৪২)।
জানাগেছে, শনিবার গভীর রাতে একটি মাইক্রেবাসযোগে রাজাপুর উপজেলা ডহর শংকর এলাকায় আলমগীর ওরফে সিংঙ্গা আলমগীরের বাসায় এসে রাতে খাবার খায়। এর পরেই তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরে একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এলাকার কয়েকজনকে বিভিন্ন অভিযোগে ভয়-ভীতি দেখিয়ে শাসাতে থাকে। পরে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এ সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে অভিযান করে তাদের ৬জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও ছেড়ে দেয় আশ্রায়দাতা আলমগীরকে।
রাজাপুর থানার এসআই সঞ্জীব কুমার বলেন, দুদক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবি করায় ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বাদি হয়ে তাদের নামে মামলা দায়ের করে। তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক ইমরানুর রহমান তাদের জেল হাজতে পাঠায়।