এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ এবং ১০টি স্পিডবোট চলাচল করবে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, এবার ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ ও ১০টি স্পিডবোট চলাচল করবে। এ ছাড়া ঘাটের যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও পরে মোট সাতদিন পশুবাহী ও জরুরি পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে এবং রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট টানানোর পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদের কটি পরিহিত নিশ্চিতকরণ, ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, টার্মিনালে যানবাহন প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চাঁদাবাজ, দালাল নির্মূলে ঘাট এলাকাসহ সড়কে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এদিকে, ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ঘাট প্রস্তুতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ী জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক লিটন বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে অতিরিক্ত কিছু যানবাহন, মাহিন্দ্রার কারণে ঘাট এলাকায় যানজট তৈরি হয়; যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আমরা গত ঈদে যে ভাড়া নিয়েছি, এবারও সে ভাড়া নেবো। ভাড়ার চার্ট প্রতিটি কাউন্টারে টানানো থাকবে। তাছাড়া নির্দিষ্ট রুটের বাসে স্টিকার লাগানো থাকবে। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাত্রীদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে। কোনো ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ এবং চার্টের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশ যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি রোধে সক্রিয় থাকবে। জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, ভোগান্তিবিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমে এসেছে। তারপরও ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপের পাশাপাশি এবার পশুবাহী ট্রাক নদী পারাপার হবে। ফলে গত ঈদের চেয়ে এবার চাপ একটু হলেও বাড়বে। ফেরি ও লঞ্চ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করলে এবারও কোনো ভোগান্তি হবে না। তারপরও সব বিষয়ে জেলা প্রশাসন মনিটরিং করবে।