ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পাশে দীর্ঘ দিন যাবত সিসা তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নিরব ভূমিকায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। কারখানার ব্যাটারির অ্যাসিডের ঝাঁজালো গন্ধে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ট।
নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যার ফলে এই অবৈধ সিসা তৈরি কারখানা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পমিজান মেটাল সিসার কারখানার পশ্চিম পাশ দিয়ে ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ও পূর্বে পৌলি এলাকা এবং উত্তর পাশে পৌলি নদী ও বাজার।
কারখানা সংলগ্ন ঢাকাণ্ডটাঙ্গাইল-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কারখানার ভেতরে দেখা যায়, একজন গেইট পাহাড়া দিচ্ছেন।
শ্রমিকরা কাজ করছেন। চুল্লির মধ্যে অ্যাসিড মিশ্রিত ব্যাটারির বর্জ্য সাজানো আছে। এরপর আগুন দিয়ে তা গলাচ্ছে। পাশেই বৈদ্যুতিক পাখা থেকে বাতাস দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সিসা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌলি এলাকায় প্রায় এক বছর যাবত এই অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন একটি প্রভাবশালী মহল। কারখানাটি বন্ধের দাবি জানালে স্থানীয়দের নানাভাবে হুমকি ধামকির শিকার হতে হয়। রাত দিন এই অবৈধ কারখানা চলার কারণে পরিবেশ ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
পৌলি এলাকার বাসিন্দা রাকিব মিয়া বলেন, ‘সিসা ফ্যাক্টরির কারণে গাছপালার পাতা বিবর্ণ হয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। কারখানার পাশের ফসলি জমির উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
এছাড়াও নানা রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করার সময় এই এলাকায় আসলে গ্যাসের গন্ধ আসে। তখন নাক ও চোখ জ্বলে। পরিবেশবাদী সংগঠনর নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যাটারির বর্জ্য পোড়ানোর সময় যে ধোঁয়া সৃষ্টি হয়, তা গাড়ির ধোঁয়ার চেয়েও মারাত্বক ক্ষতিকর। এটা মানবদেহ, জীব বৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
পমিজান মেটালের ম্যানেজার তানভীর আহমেদ বলেন, প্রায় এক বছর যাবত এই কারখানাটি করা হয়েছে। কারখানার জমি আমাদের, তবে মালিক উত্তরবঙ্গের। পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করা আছে বলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন অভিযান করা হয়নি।
এবিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসেইন বলেন, এক গণমাধ্যম ব্যক্তির মাধ্যমে বুধবার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এর আগে আমরা এ তথ্য পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। পরিবেশ অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ নিলে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।