শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের বহির্বিভাগে মাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য এসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের স্বীকার হয়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত চার আনসার সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ক্লোজড হওয়া আনসার সদস্যরা হলেন-এপিসি হেমায়েত উদ্দিন, শাকিল হোসেন, আবু হানিফ ও রিয়াজ হোসেন। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণ করেছে আনসার কর্তৃপক্ষ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে শেবাচিমের নিচতলায় ববি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিতর ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে টিকিট সংগ্রহ করতে এক নারী লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। গরম পরিবেশ হওয়ায় তিনি লাইন থেকে সরে এসে ফ্যানের নিচে দাঁড়ান। এ সময় এপিসি হেমায়েত উদ্দিন তাকে লাইনে গিয়ে দাঁড়াতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়। এসব দেখে ওই নারীর ছেলে ও ববি ছাত্র শান্ত ইসলাম এগিয়ে এসে হেমায়েতের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন। একপর্যায়ে শান্তর সাথে হেমায়েত ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে অপর আনসার সদস্য শাকিল, হানিফ ও রিয়াজ ঘটনাস্থলে এসে শান্তকে ধরে পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে জানা যায় শান্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
শেবাচিম হাসপাতালের আনসার কমান্ডার মোশারেফ হোসেন জানান, ঘটনার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এপিসি হেমায়েত উদ্দিনসহ শাকিল, হানিফ, রিয়াজকে ক্লোজড করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা নিজেদের বাড়ি চলে যাবেন। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনাটিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে রোগীর ছেলে ও ববি ছাত্র শান্তকে কলার টেনে ধরে মারধর করতে দেখা গেছে। তাই ওই চার আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি তিন মাস পর পর হাসপাতালের আনসার সদস্য পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ঘটনা তদন্তে জেলা আনসার কমান্ডারের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।