বাগেরহাটে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে জেলে অপহরণের সাথে জড়িত বনদস্যু নয়ন বাহিনীর দুই সদস্য রেজাউল মুন্সি (৩২) ও এসমাইল হোসেন (৩৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুলনা ও শরণখোলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই দস্যুদের গ্রেপ্তার করে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। দস্যুদের তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের গভীর থেকে দেশীয় তৈরি ৩টি একনলা বন্ধুক, ১০ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি গাছি দা, ১টি হাতুড়ি, বাজি ফুটানোর যন্ত্র, টাকা আদায়ের হিসেব রাখারিএকটি খাতা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
গ্রেফতার রেজাউল মুন্সি শরণখোলা উপজেলার শরণখোলা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে এবং এসমাইল হোসেন একই গ্রামের জয়নাল সরদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৯ জুন) গভীর রাতে খুলনার জেল খানা ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ভোর রাতে ইসমাইলের তথ্য অনুযায়ী শরণখোলা থেকে রেজাউল মুন্সিকে দস্যু গ্রেপ্তার করা হয়। ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তর থেকে তাদের দেখানো জায়গা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
গ্রেফতার এই দস্যুরা গেল বছরের ডিসেম্বরে সুন্দরবন জেলে অপহরণের সাথে জড়িত ছিলেন। এর আগেও অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ দস্যুকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে সুন্দরবন থেকে কিছু জেলে অপহৃত হয়েছিল। তখন জেলেদের উদ্ধার ও দস্যুদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে আমার তিন দস্যুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তখন আমরা জেনেছিলাম জেলে অপহরণের সাথে ৮-৯ জন দস্যু জড়িত ছিল। তখন থেকে পুলিশ অন্য দস্যুদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। সেই ধারাবাহিকতায় আরও দুই দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দস্যুদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।