কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের সরারচর গরুর বাজারটি অতি প্রাচীনতম বাজার। কালের বির্বতনে এই বাজারটি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এই বছর ব্যাট সহ প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা হবে বলে সরারচর গরুর হাট বাজারের ইজারাদার আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। ঈদের আর মাত্র চার বাকি রয়েছে। এরইমধ্যে ঈদণ্ডউল- আযহা উপলক্ষে সরারচর গরুর বাজার ছাড়াও ঈদ উপলক্ষে বাজিতপুর বাজার সিএনবি সংলগ্ন গরুর হাট রোববার বসেছে। এ ছাড়া এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বাজার সংলগ্ন ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অস্থায়ী গরুর বাজার বসেছে। জানাযায়, এ বছর গরুর গোখাদ্য, বিভিন্ন ফিডের দাম পূর্বের তুলনায় আকাশচুম্বী হওয়ায় গরুর খামারিদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট গরুর মাঝারি গরুর দাম একটু বেশি হলেও বড় গরুর দাম খুব একটা বেশি নয়। প্রতি হাটে ছোট গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা, মাঝারি গরুর দাম ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও বড় গরুর দাম ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম হাকছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। এদিকে কুলিয়ারচর ও নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গরুর হাটে এই বছর গরুর হাট জমজমাট হচ্ছে বলে গরুর বাজারের ইজারাদার আলম মিয়া সাংবাদিকদের জানান। সরারচর গরুর হাটের ইজারাদার ও বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ রোববার এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বছর ঈদ উপলক্ষে গরুর হাটে গরুর দাম মোটামুটি যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, লাভের মুখ দেখা খুব কঠিন বলে ধারনা করছেন।