পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল সরবরাহের তিনটি ট্রাক আটক করেছিলো চিহ্নিত চাঁদাবাজরা। পরবর্তীতে ট্রাকের চালক ও হেলপারকে মারধর করে স্থানীয়দের তোপের মুখে পালিয়ে যায় চাঁদাবাজরা।
পূর্ণরায় দাবিকৃত চাঁদার টাকার জন্য ঠিকাদার ও তার লোকজনকে বিভিন্নধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে ওইসব চাঁদাবাজরা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ কিংবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ঠিকাদার ও তার শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকালে জেলার গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে এ অভিযোগ করেন ঠিকাদার মুহাম্মদ আরেফিন সিদ্দিক।
মাদারীপুর সদরের পাকা মসজিদ মহিষের চর এলাকার বাসিন্দা আবদুল মান্নান মিয়ার ছেলে ঠিকাদার আরেফিন সিদ্দিকের অভিযোগে জানা গেছে, তিনি গৌরনদীর পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের আবদুর রব টেক্সটাইল ভকেশনাল ইনিষ্টিটিউটের ভবন নির্মান কাজের একজন ঠিকাদার। সরকারি নির্মান কাজ চলাকালীন চরপালরদী গ্রামের দুলাল প্যাদা, সিফাত রাঢ়ী, আল-আমিন প্যাদা, আমিন প্যাদা, চর আইরকান্দি গ্রামের আরাফাত সিকদারসহ তাদের ৮/১০ জন সহযোগিরা তার (আরেফিন) কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উল্লিখিত চাঁদাবাজরা গত ২০ জুন বিকেলে নির্মান কাজের পাথর ভর্তি তিনটি ট্রাক আটক করে। তাদের (চাঁদাবাজ) বাঁধা প্রদান করায় ট্রাক চালক ও হেলপারকে মারধর করা হয়। এ সময় স্থানীয়দের তোপের মুখে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়।
আরেফিন সিদ্দিক আরও অভিযোগ করেন, ওইসব চাঁদাবাজরা পূর্ণরায় তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকার জন্য বিভিন্নধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ কিংবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে তিনিসহ তার শ্রমিকরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দুলাল প্যাদা ও সিফাত রাঢ়ীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তারা দুইজনেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা বন্ধ করে রাখেন। যেকারণে তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হোসেন লিখিত অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।