ঘনিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে এখনও জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাটগুলো। চুপচাপ বসে থেকে সময় কাটছে দূরদূরান্ত থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারীদের। গরু বেচাকেনা কম হচ্ছে। যেটুকু কেনাবেচা হচ্ছে, এর মধ্যে ক্রেতাদের নজর বেশি দেশি ছোট গরুর দিকে। গ্রামে মোটামোটি পশু কেনাবেচা হলেও শহরের ক্রেতাদের গরু কিনে নিয়ে যাওয়া ক্রেতাদের চেয়ে দরদামের খোঁজ নিতে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি। এবার গরুর দাম বেশি। কারণ গরুর খাবারের দাম বেড়েছে অনেক, সেইসঙ্গে পরিবহন খরচও বেশি। এবার গরুর হাটে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশী গরুর চাহিদা ও দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে যেমন ক্রেতারা কাক্সিক্ষত দামে পশু মেলাতে পারছেন না, আবার বিক্রেতারাও দাম না পাওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। গোখাদ্যের দাম বাড়ার তুলনায় গরুর তেমন দাম পাঁচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। তবে যাদের দামে মিলে যাচ্ছে তারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশু। আবার অনেকে বলছেন দালালেরাই নিয়ন্ত্রণ করছে হাট। এর ফলে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। সব চেয়ে হাটে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ইউটিউবার ও টিকটকারদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এদের মধ্যে বেশি আনাগোনা বেড়েছে ইউটিউবারদের। বিক্রেতাদের কাছে থেকে গরুর বিবরণ জানা কিংবা গরু কিনে ফেরার পথে থামিয়ে দাম জিজ্ঞাসা করে কন্টেন্ট তৈরি করছেন। বিষয়টি এ বছর মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনেকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও এসব ভিডিওতে অংশ নিচ্ছে অনেকে। হাট না জমলেও তাদের কন্টেন্ট বানানোর কার্যক্রম জমে উঠেছে। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগের কথা শোনা যাচ্ছে। এজন্য অনেকে ভেবেচিন্তে শেষ সময়ে গরু কেনার কথা চিন্তা করছেন। তবে শেষ সময়ে পশুর হাটগুলো জমে উঠবে বলে আশা রয়েছে। যদিও গত বছরের থেকে প্রতিটি ছোট গরু প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি চাচ্ছে। এ দামে গরু কেনা প্রায় অসম্ভব। বাজারের ভাব বোঝা যাচ্ছে না। প্রচুর গরু, ক্রেতা নেই। তারপরও কেউ দাম ছাড়তে চাচ্ছে না। নানা অজুহাতে বারানো হচ্ছে কোরবানির পশুর দাম। তারপরেও কোনো ভাবেই যেন কোরবানির হাট বিড়ম্বনার কারণ হয়ে না দারায় সে জন্য কঠোর হুশিয়ারী ও রাস্তায় হাট না বসার ঘোষনা দিয়েছেন পুলিশ। তবে কোরবানির হাটে কিছু দালালচক্র রয়েছে, তাদের ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রধান করতে হবে। তাহলে হয়তো ক্রেতারা নিরাপদে ও স্বস্তিতে গরু ক্রয় করতে পারবেন। এবং সবাই আশাবাদী দাম সাধ্যের মধ্যে থাকবে।