নাটোরের সিংড়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক দশ বছরের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে প্রতিবেশী গ্রাম সম্পর্কে নানা আলাল হোসেন (৫০) ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বলে শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। বর্তমানে শিশুটি সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর ধর্ষক আলাল হোসেনকে গণধোলাই দেন এবং তার গ্রেপ্তার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। ধর্ষক আলাল হোসেন বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত নবাব আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মুদি দোকানি আবদুস সামাদের শিশু কন্যা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় বাজারে তার বাবার দোকানে কাঁচা সবজি-তরকারি আনতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী গ্রাম সম্পর্কে নানা আলাল হোসেন তাকে সিগারেট আনতে দেন। পরে বাজার থেকে ফেরার পথে সিগারেট নিয়ে তাকে দিতে গেলে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন গ্রাম্য প্রতিবেশী নানা আলাল হোসেন। পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষক আলাল হোসেনকে বেধরক পিটুনি দেন শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে অপ্সান অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল ৪ টায় শিশুটিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তাররা ধর্ষণের কোন আলামত রয়েছে কিনা জানতে নিয়ে গেছেন বলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কুরবান আলী বলেন, যতদুর তিনি জেনেছেন। শিশু ধর্ষণের ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী হাসান বলেন, মানসিক ভাবে শিশুটি ভয়ে আতকিংত হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আর মহিলা ডাক্তারের পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে তার ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।