দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার দুপুরে হাসপাতাল সূত্রে শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারটি মেডিসিন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৫২ জন রোগী।
এর আগে বুধবারও ৫২ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালে। যা চলতি মৌসুমে চিকিৎসাধীন সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু রোগীর রেকর্ড। সূত্রমতে, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ‘সেল সেপারেটর’ যন্ত্র না থাকায় গুরুতর রোগীদের একের পর এক ঢাকায় পাঠাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু শের-ই বাংলা মেডিকেলেই নয়; বরিশাল বিভাগের কোনো সরকারি হাসপাতালেই গুরুত্বপূর্ণ এই যন্ত্রটি নেই বলে জানিয়েছেন, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান।
রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন ধরে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় নানাসংকট ও সমস্যা তুলে ধরা হলেও সেসব সমাধানে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ। এমনকি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের আলাদাস্থানে চিকিৎসা দেয়ার দাবি করা হলেও একই ওয়ার্ডে সাধারণ রোগীর পাশেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের। এনিয়ে আতঙ্কে আছেন সাধারণ রোগীরা। ওয়ার্ডগুলো নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার তেমন কোন উদ্যোগও নেই। এমনকি ডেঙ্গু রোগীদের মশারী টাঙ্গানোর কোন ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়নি। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ‘সেল সেপারেটর’ যন্ত্র না থাকায় রোগীর অবস্থার একটু অবনতি হলেই তড়িঘড়ি করে তাকে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা ডেঙ্গু মহামারী আকারে রূপ নেয়ার আগেই শের-ই বাংলা মেডিকেলে একটি ‘সেল সেপারেটর যন্ত্র’ দেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেছেন।
সার্বিক বিষয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের ছোটোখাটো সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদের সকল সংকট দূর করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘সেল সেপারেটর’ যন্ত্র সরবরাহ না করায় আশংকাজনক ডেঙ্গু রোগীদের ঢাকায় পাঠাতে হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।