বরিশালের মুলাদীতে মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার আইডি হ্যাক করাকে কেন্দ্র করে হামলার করা হয়েছে। এতে দুই কলেজ ছাত্রসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নাজিরপুর গ্রামের ইয়ামিন পাইকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, পশ্চিম নাজিরপুর গ্রামের শিপলু খানের ছেলে মো. সিয়াম (১৯) এবং গৌরনদীর হোসনাবাদ গ্রামের কাওসার হাওলাদারের ছেলে মো. সাগর (১৯)। তারা দুজনেই নাজিরপুর ইউনাইডেট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ছাড়া শিবলু খানসহ আরও ৩জন আহত হয়েছেন। একই গ্রামের কামাল পাইকের ছেলে নাফিজ, নাফিজের স্ত্রী ঝুনু আক্তার, শশুর রুবিন পাইক, ফুফাতো শ্যালক জিদান হোসেন লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে দুই ছাত্রকে কুপিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহতরা। আহত কলেজ ছাত্র সাগর জানান, নাফিজ পাইকের ফুফাতো শ্যালক জিদান কৌশলে সিয়ামের ফ্রি ফায়ার আইডি হ্যাক করে নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সিয়াম তার কাছে আইডি ফেরৎ চায়। জিদান ওই আইডি ফেরতের জন্য ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় জিদান আরেক জনের কাছে আইডিটি ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। সিয়াম নিজের পুরোনো আইডি ফেরৎ না পেয়ে জিদানের মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। স্থানীয় এক ভাইয়ের সহায়তায় বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য সিয়াম শুক্রবার বিকেলে জিদানকে ডেকে আনতে যায়। ওই সময় নাফিসের স্ত্রী ঝুনু আক্তার তার পথরোধ করেন এবং জিদানের মোবাইল ফোন ফেরতের বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাফিজ, তার স্ত্রী ঝুনু, শ্যালক জিদানসহ ৪/৫জন হামলা চালিয়ে সিয়ামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাকে রক্ষা করতে গেলে সাগরকেও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। আহতদের বাচাতে গিয়ে শিবলু খানসহ আরও ৩জন আহত হন। আহতদের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে মুলাদী হাসপাতলে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক রাতেই সিয়ামকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। নাজিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেমস নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় ৫জন আহত হয়। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘হামলার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’