বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পুলিশ দেখে দৌরে এক জুয়ারির মৃত্যুর ঘটনায় এসআইসহ ৪ জন পুলিশ সদস্যকে রেগুলার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। বরিশাল পুলিশ সুপার তাদেরকে প্রথমিক জিজ্ঞাসা বাদের জন্য বরিশাল নিয়েছে। এ ব্যাপারে বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে আহবায় করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামের মিজান ফকিরের দোকানের পিছনের বাগানে ইকবাল মৃধা, আলামিন মৃধা, জামাল মৃধা ও ফরিদ মৃধা, রফিক হাওলাদার সহ ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল ১২ জুলাই জুয়া খেলছিল। এমন সময় পার্সের রাস্তাদিয়ে গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হক সিকদার তার সাথে সঙ্গিয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে যাচ্ছিলো। জুয়ারিরা দল পুলিশের টের পেয়ে দৌরদেযায়। দৌরাতে গিয়ে রফিক হাওলাদার নামে এক জুয়ারি ওই গ্রামের কাজী মন্নানের বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে (রফিক) স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওইদিন দুপুর ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়য়ি করে গৌরনদী থানা পুলিশের এসআই আবদুল হক সিকদার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকার জনগণ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) শারমিন সুলতানা রাখী শনিবার সাংবাদিকদের জানায়, ওই ঘটনা তদন্তের জন্য বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত্র কমিটি গঠন করা হয় শনিবার। অভিযুক্ত গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হক সিকদার কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, তরিকুল ইসলাম ও পিক-আপ চালক জিহাদ হোসেনকে রেগুলার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। বরিশাল পুলিশ সুপার তাদেরকে প্রথমিক জিজ্ঞাসা বাদের জন্য বরিশাল নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে তদন্ত রির্পোট পাবার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান সাংবাদিকদের জানায়, আমি কোন কাগজ হাতে পাই নাই। কাগজ হাতে পেলে বলতে পারবো।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো.গোলাম ছরোয়া হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করে নাই।