দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু এবং আহত হয়েছে ৮জন।
ওই মহাসড়কের বিরামপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গরুবাহী শ্যালোচালিত নসিমন উল্টে রেজওয়ান নামে ব্যবসায়ী এবং নবাবগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালক আকরাম হোসেন ও বাস যাত্রী শিশু কন্যা জান্নাত আরা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮জন।
গত সোমবার দিবাগত রাত ৮টা থেকে মধ্যরাতে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর রেলগুমটি ও নবাবগঞ্জের চড়ারহাট এলাকায় এই দূর্ঘটনা দুটি ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধুরইল এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে রেজওয়ান (৪০), ট্রাক চালক পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার আকরাম হোসেন (৩৫) ও বাসের যাত্রী দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ী এলাকার জিয়ারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাত আরা (১২)।
আহত মজনু (৩৪) জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ফেসকার ঘাট এলাকার ওয়াজ প্রামানিকের ছেলে এবং বিষু (৪০) ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুর এলাকার বিহ্মু মন্ডলের ছেলে। বাকীদের দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস দিনাজপুরের দিকে আসছিল।একই সময় পঞ্চগড় থেকে বালুবাহী একটি ট্রাক গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট টুলটুলি পাড়া এলাকায় ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ট্রাকের চালক ও এক শিশু নিহত হয়। এ ঘটনায় ৭যাত্রী আহত হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, বিরামপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে নশিমনে রাণীগঞ্জ হাট থেকে কয়েকটি গরু ক্রয় করে আমবাড়ী এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। পথে ওই মহাসড়কের বিরামপুর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে নসিমনটি উল্টে যান। এতে গরুসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত রেজওয়ানের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক সামসুজ্জামান সরকার দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত পৌনে দশটার দিকে তার মৃত্যু হয়।