কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার একটি মাদ্রাসার নারী শিক্ষক উম্মে রুমান এর দুটি কিডনি বিকল হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, তা দরিদ্র এই শিক্ষকের পক্ষে জোগার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে তিনি সহায়তা কামনা করেছেন।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০০৮ সালে অনার্স এবং ২০০৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন রুমান। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আমিন উদ্দিন আহমেদ দাখিল মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তিনি বিবাহিত এবং তার চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রুমান ২০১৬ সাল থেকে কিডনি রোগে আক্রান্ত। এই ব্যয় বহুল রোগের চিকিৎসা করাতে যেয়ে এখন পর্যন্ত তার ২০ (বিশ ) লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। দেশে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন ভারতের চেন্নাইয়ের একজন কিডনি বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন উম্মে রুমানের দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। অন্তত: একটি সুস্থ কিডনি প্রতিস্থাপন করা গেলে তাকে বাঁচানো সম্ভব। তার মায়ের কিডনি দান করার কথা ছিল এবং সে অনুযায়ী তারা ভারতে যান। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়েছেন কিডনি দাতার অন্য রোগ থাকায় তার কাছ থেকে কিডনি নেয়া সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় রোগীকে বাঁচাতে গেলে কিডনি ক্রয় করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। ফলে সুচিকিৎসার জন্য রোগীর পরিবারকে কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) লাখ টাকা যোগাড় করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে যেয়ে তার স্বামীর যেটুকু সহায় সম্বল ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। তার স্বামীর পক্ষে এই বিশাল ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। রোগীর বাবার সামান্য কিছূ জমি আছে তা তিনি বিক্রয় করে মেয়ের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। সবকিছু মিলিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ (দশ ) লাখ টাকা যোগাড় করার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু বাকি ২০ (লাখ) টাকা যোগাড়ের কোন পথ না থাকায় রোগী, তার সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা জীবন্ত মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। বর্তমানে জীবন বাঁচাতে রোগীকে প্রতি সপ্তাহে রংপুর যেয়ে দুইবার করে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে যা ব্যয় বহুল। রুমান সমাজের সহৃদয়বান মানুষের প্রতি তাঁর জীবন বাঁচাতে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর হিসাব নম্বর: ২০৫০১৯৫০২০১২১৩২১২, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, কুড়িগ্রাম শাখা। বিকাশ নম্বর: ০১৭২৩১১৫৯১৩।