পাবনার সুজানগরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার খাল-বিল, জলাশয় এবং ডোবা-নালা থেকে কারেন্ট, খড়া ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে মাছ ধরায় দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের চাহিদা মেটাতে এ জনপদের মানুষ পুকুরে চাষ করা বিদেশি মাছের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলপাড়ের উলাট গ্রামের নাসিম উদ্দিন বলেন প্রত্যেক বছর চলতি মৌসুমে বর্ষার নতুন পানির সাথে পদ্মা এবং যমুনা নদী থেকে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলসহ ১৫/১৬টি বিলে বান, পাবদা, নয়না, রায়েক, বোয়াল এবং রুই-কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পর্যাপ্ত দেশি মাছে আসে। কিন্তু কতিপয় অসাধু মৎস্যজীবী ওই মাছ বড় হতে দেয়না। তারা বির্বিচারে চায়না দুয়ারী, কারেন্ট, খড়া ও বেড় জাল দিয়ে ওই মাছ নিধন করে। আর তাদের এই নিধন কার্যক্রম চলে পুরা বর্ষা মৌসুম ব্যাপি। বিলপাড়ের বোনকোলা গ্রামের বাসিন্দা রইচ উদ্দিন বলেন উপজেলা মৎস্য বিভাগ মাঝে মধ্যে নিষিদ্ধ ওই জাল ধরতে বিলে অভিযান পরিচালনা করলেও তাতে তেমন একটা ফল হয়না। মৎস্যজীবীরা অভিযানকালে মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও অভিযান শেষে আবার অবাধে ওই মাছ শিকার করে। উপজেলার মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম বলেন নিষিদ্ধ কারেন্ট, খড়া ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করায় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় দিনের পর দিন এলাকার খাল-বিল দেশি মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন বিলে মাঝে মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।