পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের তালুকদার হাট সংলগ্ন ৪৬নং দক্ষিণ শিয়ালকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ঝুকিপুর্ন ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটতে পারে প্রানহানির ঘটনা।
ঝুকিপূর্ন ব্রীজ নির্মানের দাবীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্রীজের সামনে মানবন্ধন করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের হাতেধরে ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে পার করে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিচ্ছে। তালুকদার হাট ও হাওলাদারহাটের মধ্যবর্তী খালের ওপর দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পাকা সেতুটির পিলার দেবে একটি স্প্যান ঝুলে রয়েছে। ২০১৩ সালে নির্মাণের দুই বছরের মাথায় সেতুটি দেবে যায়। সেতুর ওপর সুপারিগাছ দিয়ে আলাদা সাঁকো তৈরি করে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশেই রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব শিয়ালকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিন শতাধিক শিশু প্রতিদিন ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। বছরের পর বছর এ অবস্থা চলতে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই- এমন কথাই বললেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা পান্নু তালুকদার।
শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরজ্জামান স¤্রাট বলেন, আমরা একাধিক বার উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট অফিসে ব্রীজ নির্মাণের জন্য আবেদন করেও কোন সুফল পাইনি।
শিশু শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সানী ও নাফিয়া ইসলাম বলেন, আতঙ্কের ভিতর থেকে আমরা ব্রীজ পারাপার হই। অনেক সময় আমাদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, এই ঝুকিপূর্ন ব্রীজ পরাপারের সময় একাধিক শিক্ষার্থী দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ব্রীজ পাড়াপারের ঝুকি থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানাকে অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাখায়েত হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।