মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী ভাঙনের মুখে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বালুমহালের ইজারা। প্রায় ১৫বছর পর হঠাৎ করে আবারো ইজারা দেওয়ার ফলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা নয়ানগর, চর রমজানবেগ, ষোলআনী ও চর কালীপুরা গ্রাম আবারও ভাঙনের মুখে। অবিলম্বে বালুমহাল ইজারা দ্রুত বন্ধ চান এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত বছর গুলোতে মেঘনা নদীতে বালুমহাল ইজারার কারণে নদীর তীরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে অনেকে বসত ভিটি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অসংখ্য পরিবার একমাত্র সহায় সম্ভল হারিয়ে পথে বসেছে। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে মেঘনা নদীর মহালের ইজারা বাতিল করে। কিন্তু হঠাৎ করে একটি প্রভাবশালী চক্র আবারো মেঘনা নদীতে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে। তাদের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধ কথা বলার সাহস পান না। তাদের বিরুদ্ধাচারণ করলেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এর ফলে নদীর পাড়ে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। তারা মনে করেন, উপজেলা প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত না করেই প্রভাবশালীদের চাপ কিংবা অর্থের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। না হয় গণবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই নিতে পারে না উপজেলা প্রশাসন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, তাদের কে নদীর মাঝ থেকে বালু উত্তোলন করতে বলা হয়েছে। নদীর তীরে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করলে তার একটি ছবি পাঠিয়ে দিন। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।