রুনা একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্রী। ছোট বেলা থেকেই সে লেখাপড়ার প্রতি বেশ মনোযোগী ছিল। শারীরিক অক্ষমতার জন্য রুনা ভারী কাজকর্ম করতে পারে না। কিন্তু এতে সে হতাশ নয়। এ বছর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে সে হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ- ৫পেয়েছে (যার রোল নং- ৭৫০৮৪১)। সে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব ঢেকিয়া গ্রামের আবদুল মন্নানের কন্যা। তার পিতা একজন মুদির দোকানদার। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য প্রতিবন্ধী রুনা উচ্চশিক্ষা গ্রহনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সে প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী হয়েছে। ভাতার টাকা দিয়েই সে ওষুধ পত্র সংগ্রহ করছে। রুনা আক্তার জানান, ভবিষ্যতে আমি নার্সিং ডিপ্লোমা শেষ করে মানুষের সেবা নিজেকে নিয়োজিত রাখব। জানতে চাইলে হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন মানিক বলেন, প্রতিবন্ধী রুনা এক মেধাবী শিক্ষার্থী। তার পড়া লেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।