জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ভাটি খেওয়ারচর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য সহ সীমাহীন দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যহারের অভিযোগ উঠেছে। তার এই দূর্নীতির কাজে সহয়তা করার জন্য ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি সভাপতি আলহাজ¦ শাহিনা বেগম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ সহকারি জজ আদালত জামালপুরে মামলা দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোস্তাইন বিল্লাহ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে মোস্তাইন বিল্লাহ বিগত ১৫ বছর থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করে আসছে। দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মোস্তাইন বিল্লাকে পদ অবনতি করে তার বড়ভাই নুরুল আমীন আকন্দকে অবৈধভাবে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। অপরদিকে মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগবিধি লংঘন করে সাবিনা ইয়াছমীন, মর্জিনা আক্তার, আবদুল লতিফ, জাহিদুল ইসলাম, মাসুদুর রহমানকে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারি শিক্ষক ছাইদুল্লাহ খান শিক্ষামন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দায়ের করে। দূর্নীতি পরায়ন প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের তদবীরে ওই অভিযোগটি দামাচাপা পড়ে যায়।
সে কারণে ওই বিদ্যালয়টি দূর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। একারনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আবুল কালাম এমপির নির্দেশে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে জানাযায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ট্যাব বিতরণে অনিয়ম, উপবৃত্তি বিতরণের অনিয়ম, ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাৎ বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র পানির পাম্প, পানির ট্যাংক, সিলিং ফ্যান, নিজের বাসায় ব্যাবহার করেন প্রধান শিক্ষক নুরমোহাম্মদ। অপরদিকে প্রতিবছর অভিনব কায়দায় ভুয়া রেজিষ্টেশন, ভুয়া ফরম ফিলাপ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে।
উল্লেখিত ঘটনাগুলি তদন্তে প্রমানিত হলেও অদৃশ্যকারনে কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তাই প্রতিকারের আশায় এই দূর্নীতির ঘটনাটি অবশেষে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বিজ্ঞ আদালত প্রধান শিক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে।