দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফারজানা আক্তার চুমকী (৩৫) হত্যাকান্ডের ৫দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্ল্পনাকারীসহ২সহযোগীকে। পারিবারীক ও সামাজিভাবে সাবেক চেয়ারম্যানের সন্মানহানী হওয়ার ভয়ে চুমকীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ফারজানা আকতার চুমকী জয়পুরহাট সদর মধ্য দরিয়াপাড়ার মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। পুলিশ সুপার জানান, নিহত চুমকির প্রথম স্বামীর সাথে সংসার চলা অবস্থায় ২০২২সালে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮নং আওলাই ই্উনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে চুমকী তার ্রপ্রথম স্বামী এজাজুল সনিকে তালাক দিয়ে ওই চেয়ারম্যানকে বিয়ে করে। বিয়ে করায় সামাজিক ও পারিবারীকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে থাকে আবদুর রাজ্জাক। সে কারণে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চুমকীকে বেড়ানোর কথা বলে চেয়ারম্যার রাজ্জাক। চুমকী তার কথায় রাজী হয়ে গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার মাইক্রোভাড়া করে ঘোড়াঘাট এলাকায় আসে। পরে একপর্যায়ে গাড়ীর ভিতরে লাইলনের রশি গলায় পেচিঁয়ে তাকে হত্যা করে লাশ ঘোড়াঘাট এলাকার বলগাড়ী মোজামের পার্কের আম বাগানে ফেলে চলে যায়। ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনিদের গ্রেপ্তার করে। আসামি ৩জন হলেন পাঁচবিবি উপজেলার ৮নং আওলাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক(৫০),একই উপজেলার ছাতিনালী গ্রামের মৃত মালেক মন্ডলের ছেলে ইমদাদুল হক (৪৮) ও মাইক্রো চালক ঘোড়াঘাট উপজেলার মরিচা গ্রামের ইয়াকুব আলী ছেলে এমদাদুল হক (৪৫)। গ্রেপ্তারকৃতদের দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।