মধ্যরাতে হেলমেট পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গবন্ধু ও শের-ই বাংলা আবাসিক হলে হামলা চালিয়ে ১০জন শিক্ষার্থীকে আহত করা হয়েছে। আহতরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গুরুত্বর আহত ছয়জনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, হেলমেট, রুমাল ও মুখোশ পরে ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে তারা শের-ই বাংলা হলের ভেতরে প্রবেশ করে প্রধান ফটক আটকে দিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম তলার বেশ কয়েকটি কক্ষে তল্লাশি করে। এরপর তারা বঙ্গবন্ধু আবাসিক হলের চতুর্থ তলায় গিয়ে ববি’র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মুয়ীদুর রহমান বাকি, সাইমুন ইসলাম, আয়াত উল্লাহসহ ৮/১০ জনের ওপর ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
আহত শিক্ষার্থী সাইমুন ইসলাম অভিযোগ করেন, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুবাশ্বির রিদমসহ বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মুখোশ ও হেলমেটধারীরা এ হামলা চালায়। অপর আহত মুয়ীদুর রহমান বাকি অভিযোগ করে বলেন, নানান অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এভাবে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলার খবর পেয়ে রাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাহ করছে।
তবে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। রাতে হামলার বিষয়টি শোনার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিদর্শন করেছেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, সদ্য বিদায়ী সিটি মেয়র এবং বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্যর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাথে জড়িতরা দুটি পৃথকভাগে বিভক্ত। আর দীর্ঘদিন ধরেই এ দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে আসছে।