আমার পিতা মোসলেম আলী স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে মৃতুবরন করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান সরুপ ‘বীর নিবাস’ উপহা দিচ্ছেন। তারই ধারা বাহিগতায় আমার পিতার মৃত্যুবরান করায় তার নামে একখানা ‘বীর নিবাস’ বরাদ্দদেন সরকার। আমার বোন আগৈলঝাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি হক। তিনি আমাদের পিতার নামের বরাদ্দকৃত ‘বীর নিবাস’ খানা তার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমার বোনের শ্বশুর বাড়িতে, তার শ্বশুরে জায়গায় করার পায় তার চালাচ্ছে। আমাদের বাড়ি উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সেরাল গ্রামে আর আমার বোনের শ্বশুর বাড়ি উপজেলার বাকাল গ্রামের ফুল্লশ্রী গ্রামে। আমার দাবী আমার মরহুম পিতার নামের ‘বীর নিবাস’ খানা যাতে তার (পিতা) নিজনামের জমিতে তার কবরের পাসে নির্মানকরা হয়। রোববার সকালে আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই কথা গুলো বললেন বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সেরাল গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলীর ছেলে নাসির সেরনিয়াবাত।
তিনি আরো জানান, আমার পিতার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১০৬০০০২২১৩, বিজিবি গেজেট নম্বর ১৪৯২। এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা বরাবরে একখানা লিখিত আবেদন করেছেন। যার অনুলিপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে দিয়েছেন।
নাসির সেরনিয়াবাত তার বোনের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করেন, তার বোন বিউটি হক উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে আমার পিতার নিজ নামের রেকর্ডীয় জমির কাগজপত্র থাকার পরেও সেই কাগজ প্রশাসনের কাছে জমা নাদিয়ে ভূয়া একটি হলফনাম তৈরি করে তার শ্বশুরে নামে জমির কাগজপত্র জমা দিয়েছে। ‘বীর নিবাস’ খানা তার শ্বশুর বাড়ি নির্মান করলে আমি যেনো কোন বাধা না দি তার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাকে ভয়ভিতি দিয়ে আসছে।
এব্যাপারে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি হক সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাইকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার কথা মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমার বড় ভাই মরহুম গিয়াস উদ্দিন জীবিত থাকতে, বড় বোন মেরী বেগম ও নাসির উদ্দিন নিজে আমাকে হলফনামার মাধ্যমে ”বীর নিবাস” আমার শ্বশুর বাড়িতে নির্মানের জন্য লিখিত দিয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলীর ছেলে-মেয়েরা একটি হলফনামার মাধ্যমে বিউটি হককে ক্ষমতা অর্পন করেছে। সেই হলপনামা অনুসারে মন্ত্রণালয় থেকে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারন করে ওই স্থানেই নির্মানের জন্য অনুমোদন হয়ে এসছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলীর ছেলে নাসির সেরনিয়াবাত যদি স্থান পরিবর্তন করে আনতে পারে আমরা সেই স্থানেই ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করব। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বাহিরে আমার কিছুই করার নাই।