লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে গেছেন স্ত্রী মুনতাহা আক্তার। যাওয়ার সময় ৭ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণলঙ্কার নিয়ে চম্পট দিয়েছেন এমন অভিযোগ করে স্বামী বদরুল আলম। তবে অভিযোগ রয়েছে, স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যেতে ২০১৫ সালে বিয়ের পর থেকে নানা অযুহাতসহ তালবাহানা করতে থাকে মুনতাহা আক্তার। স্মামীর নিকট না বলে বিভিন্নস্থানে যাতায়েতের কারণে ২০১৮ সালে তাদের সংসারে প্রথম সন্তান আসলেও সেই সন্তান আলোর মুখ দেখে নাই। দ্বিতীয় সন্তান বায়েজিদ মাহমুদ ২০২০ সালে জন্ম হয়। আবারো স্বামী বদরূলের অনুমতি ছাড়া পুত্র সন্তান নিয়ে ঢাকায় বেড়াতে যায় মুনতাহা আক্তার। সেখানে কোন এক দুর্ঘটনায় গুরুতর মাথায় আঘাত পায়। সেই বিষয়টি স্বামী বদরুরকে না জানিয়ে গোপন রাখে মুনতাহা। পরে মাথা ব্যাথা জ¦রসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয় বায়েজিদ মাহমুদ। তার চিকিৎসা চলে ভারতসহ বাংলাদেশে। পরে দুই বছর ২ মাস থেকে মারা যায়। এসব বিষয়সহ নানা সমস্যা স্বামীর নিকট ধরা পড়লে পারিবারিক ভাবে দুইটি বৈঠক বসা হয় তাকে নিয়ে। এ সুযোগে নানা বাহানায় ঘরের তালা ভেঙ্গে মুনতাহা ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী বদরুলের লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার বাড়ী থেকে ৭ লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চম্পট দেন। এরপর বাপের বাড়ি জেলার রামগঞ্জ আঙ্গারপাড়া গ্রামের বাড়ি পৌঁছে হুমকি দিয়ে চলেছেন একের পর এক।
বদরুল আলম জানান, প্রথম সন্তান গর্ভেই মারা যাওয়ার পর তার অনুমতি ছাড়া কোথাও যেতে স্ত্রীকে বারণ করেছিলেন। কিন্তু সে তার কোনো কথা শোনেনি। সে তাকে না জানিয়ে ঢাকা বেড়াতে গিয়েছিল। কথা না শোনায় খুব খারাপ লেগেছে তার। তিনি আরও বলেন, ‘সে (স্ত্রী) বলেছে, আর ভুল হবে না। তার ভুলের কারণে সন্তানকে নিয়ে আসায় পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পায়। পরে সন্তানের জ¦রও হয়। সেই অসুখের পরই তাদের সন্তান বায়েজিদ না ফেরার দেশে চলে যায়। এরপর থেকে সন্তাানের চিন্তায় ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় আমার। সন্তান হারানো শোক ভুলার জন্য পরে আমি বাসা ছেড়ে চলে আসি দু’একদিনের জন্য। এর মধ্যে মুনতাহা আক্তার ঘরের তালা ভেঙ্গে তার ঠিকাদারির ৭ লাখ টাকা ও ঘরে থাকা তিন ভতির স্বর্ণ লঙ্গার নিয়ে বাপের বাড়ি রামগঞ্জে চলে আসে। এ ঘটনা স্থানীয় লোকজন অবহিত আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ আঙ্গারপাড়া গ্রামের তাজল ইসলামের মেয়ে মুনতাহা বলেন, বিয়ের পর স্বামীর সংসারে অনেক কিছুই হয়। সেই ঘটনায় তিনি কয়েক বার ক্ষমাও চেয়েছেন। তবুও স্বামীর সংসারেই থাকতে চেয়েছেন তিনি। তবে স্বামী বাড়ীতে না আসায় একাঘরে থাকার ভয়ে বাপের বাড়িতে চলে এসেছেন। তবে কোন টাকা ও গহনা তিনি আনেন নাই।